শিশু বিষয়ক প্রতিবেদন ও ছবির জন্য ইউনিসেফের ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৬’ পেয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিকতার ওয়েবসাইট ‘হ্যালো’র তিন সাংবাদিকসহ ৪৮ জন।
Published : 09 Oct 2016, 09:38 PM
পুরস্কার বিজয়ী হ্যালো’র শিশু সাংবাদিকরা হলেন- শেখ শরফুদ্দিন রেজা আলী চৌধুরী, রুহিন আহমেদ ও সাদিক ইভান।
সহশিক্ষা কার্যক্রমে মেয়েদের অংশগ্রহণের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে হ্যালোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সৃজনশীল বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকার কলেজছাত্র শরফুদ্দিন।
হ্যালোতে প্রকাশিত সিলেটের মৎস্য আড়তে শিশু শ্রম নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য একই বয়সীদের প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রতিবেদন বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন রুহিন।
একই শাখায় দ্বিতীয় পুরস্কার উঠেছে সাদিকের হাতে, সন্তানের ভালো ফলের প্রত্যাশায় শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ব্যস্ত রুটিন নিয়ে হ্যালোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকার এই স্কুলছাত্র।
‘হ্যালো’র পাশাপাশি এশিয়ান রেডিও’র প্রতিবেদনের জন্য রেডিও’র সংবাদ প্রতিবেদন (অনূর্ধ্ব ১৮) বিভাগে তৃতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন সাদিক।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ অন্য অতিথিরা রোববার হোটেল সোনারগাঁওয়ে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীদের যথাক্রমে ৫০ হাজার, ২৫ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা এবং ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
শিশু সাংবাদিকদের জন্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রয়েছে দুটি ওয়েবসাইট- হ্যালো ও প্রিজম। [email protected] ও [email protected] এ যোগাযোগ করে এখানে প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও প্রকাশের সুযোগ রয়েছে।
মীনা অ্যাওয়ার্ডে এবার অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের সৃজনশীল বিভাগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন শিশু-কিশোর মাসিক পত্রিকার ফারাহ ফওজিয়া অতসী ও ‘পলক’ পত্রিকার জেরিন নুজহাত রোজা।
রেডিও’র সংবাদ প্রতিবেদন বিভাগে হ্যালো’র সাদিক ইভানের সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন রেডিও ঝিনুকের শেজাদুল ইসলাম ও তাজমিন রশীদ তাজ।
প্রিন্ট ও অনলাইন বিভাগে (অনূর্ধ্ব১৮) পুরস্কার পেয়েছেন সুপ্রভাতের বিএম বরকতুল্লাহ (প্রথম), সাতরঙ’র মশিউর রহমান (দ্বিতীয়) ও শিশু-কিশোর মাসিক পত্রিকার বেণি মাধব সরকার (তৃতীয়)।
এ বিভাগের ১৮ বছরোর্ধ্বদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন লেটেস্টবিডিনিউজের ওমর ফারুক। তার সঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন বাংলানিউজের মাজেদুল নয়ন ও কালের কণ্ঠের ইমরান হাসান সোহেল।
নিউজ ফটোগ্রাফিতে (১৮ উর্ধ্ব) পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম বায়জিদ আক্তার (ডেইলি সান), দ্বিতীয় সনি রামানী (ন্যাশনাল জিওগ্রাফি) ও তৃতীয় মাহবুব হোসেন নবীন (সমকাল)।
রেডিও’র সৃজনশীল বিভাগে (অনূর্ধ্ব ১৮) রেডিও পল্লীকণ্ঠ’র মোহাইমিনুল হাসান প্রথম, বরেন্দ্র রেডিও’র স্মরণ মজুমদার দ্বিতীয় এবং রেডিও বিক্রমপুরের সুমি আক্তার তৃতীয় পুরস্কার জিতেছেন।
রেডিও’র সৃজনশীল বিভাগের (১৮ বছরোর্ধ্ব) প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ বেতারের মোস্তাফিজুর রহমান। তার সঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার নিয়েছেন যথাক্রমে এবিসি রেডিও’র সুদীপ কুমার দে ও রেডিও পল্লীকণ্ঠের সুতপা রানী পাল।
রেডিও’র সংবাদ প্রতিবেদন বিভাগে (১৮ উর্ধ্ব) রেডিও টুডের আদ দীন সজীব প্রথম, বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানা দ্বিতীয় এবং রেডিও চিলমারীর পলাশ মাহমুদ তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
টেলিভিশনে সৃজনশীল বিভাগে (অনূর্ধ্ব ১৮) চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটির নিশাত তাসনীম ঐশী ও সাদিয়া তাবাসসুম প্রথম এবং একই সংগঠনের সৈয়দা আবরার তোয়াহা দ্বিতীয় পুরস্কার নিয়েছেন।
এ বিভাগে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিবেদক ফারহানা তাহের তিথি প্রথম এবং মাহমুদুল হাসান দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
টেলিভিশনে অনূর্ধ্ব ১৮ বয়সীদের সংবাদ প্রতিবেদন বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম যমুনা টেলিভিশনের আনিকা তাবাসসুম ও রনি, দ্বিতীয় এটিএন বাংলার তনিমা আক্তার এবং এটিএন বাংলার তৃতীয় খাইরুল ইসলাম ও মো. জাহিদ।
সংবাদ প্রতিবেদন বিভাগের (১৮ উর্ধ্ব) প্রথম পুরস্কার নিয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের এসএম নুরুজ্জামান ও কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের আনোয়ার হোসেন ও নাসির হোসেন দ্বিতীয় এবং বৈশাখী টেলিভিশনের খাদিজা নাহার রিতা ও সাখাওয়াত সোহেল, আর মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কাউছার শেলি ও সাইফুল ইসলাম যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “শিশুরা, বিশেষ করে, মেয়ে শিশুরা ঠিকমতো বেড়ে উঠলে তারা সমাজ পরিবর্তনের প্রতিভূ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য তাদের সুযোগটা তৈরি করে দেওয়া জরুরি।”
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছু একটা হব- এই স্বপ্নটা যেন শিশুদের মধ্যে গেঁথে দেওয়া যায় সে ভূমিকা রাখতে হবে। কার্টুনের মীনা’র আকাশ ছুঁব, কিন্তু পা টা মাটিতে রেখে বাস্তববাদী হব- এমন স্বপ্ন তাদের দেখাতে হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউনিসেফের প্রতিনিধি জিডুলা মাসিকু এবং জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সীমা ইসলাম বক্তব্য দেন।