‘সরকারকে ভুলত্রুটি শোধরানোর সুযোগ করে দেয় গণমাধ্যম’

কোনো গণতান্ত্রিক দেশের সরকার গণমাধ্যমের ভূমিকার মাধ্যমে নিজেদের ভুলত্রুটি শোধরানোর সুযোগ পায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2016, 01:23 PM
Updated : 13 July 2016, 01:23 PM

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনীতে তিনি বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। গণমাধ্যম যদি তাদের ভূমিকা ঠিক মতো পালন করতে না পারে, তাহলে কোনো দেশ সামনে এগুতে পারেনা।

“গণমাধ্যম হলো ‘ওয়াচডগ’। তাদের মাধ্যমেই সরকারের ভুলত্রুটি শোধরানোর সুযোগ থাকে।”

সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদেরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, “একটা ভুল তথ্য সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি করতে পারে।”

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করতে সেভ দ্যা চিলড্রেন এবং সিঅ্যান্ডএ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘পরিপ্রেক্ষিত’ এ কর্মশালার আয়োজন করে।

পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক বোরহানুল কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৩০ জন সংবাদকর্মীকে এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ১২ জনকে ফেলোশিপ দেওয়া হবে।

এই ১২ জন সাংবাদিক এক বছর দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করবেন। ফেলোশিপের আওতায় দুইজন সেরা রিপোর্টারকে পুরষ্কার দেওয়া হবে।

কর্মশালার উদ্বোধনীতে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাই প্রকৃত সাংবাদিকতা’ বলে মন্তব্য করেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল।

“একজন সাংবাদিক টিকে থাকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উপর।”

যথাযথ প্রশিক্ষণ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় গুণগত মান বাড়ায়। আর এ ধরনের ফেলোশিপ সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন মনজুরুল আহসান বুলবুল।

“জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এখন সমাজের বড় ইস্যু। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নীতি নির্ধারণে সরকারকে সহায়তা করতে পারে সংবাদকর্মীরা।”

বুলবুল বলেন, সম্প্রতি গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিহামলার আগে-পরে গণমাধ্যম খুব ভালো ভূমিকা পালন করেছে। তবে দু-একজন সাংবাদিক ভুল তথ্য দিয়েছে।

সঠিক বিষয়টি না জানা এবং প্রশিক্ষণের অভাবেই এমন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই সাংবাদিক।

দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যম সবচেয়ে ভালো ভূমিকা পালন করতে পারে মন্তব্য করে সেভ দ্যা চিলড্রেন-এর পরিচালক মো. মোশতাক হোসাইন বলেন, “আমরাও সচেতনতা তৈরিতে নানা কাজ করি। কিন্তু সারা দেশে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কাজটি গণমাধ্যম খুব সহজেই করতে পারে।”