বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ও প্রবাসের পাঠকদের জন্য ভিন্ন স্বাদের একগুচ্ছ নিবন্ধ থাকছে বার্ষিক এই সাময়িকীতে।
এর অর্ধেক লেখা এসেছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের পক্ষ থেকে। আর বিশিষ্ট লেখক ও গবেষকদের কাছ থেকে বাকি অর্ধেক লেখার যোগান দিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০১৫ সালের ঘটনাগুলো মাথায় রেখে ২০১৬ সালের ভাবনাগুলো ছকে ফেলার চেষ্টা থাকছে টার্নিং পয়েন্টসে।
বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের উচ্চাশার কথা তুলে ধরেছেন। একই সুর ফুটে উঠেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের লেখা একটি নিবন্ধে।
সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারাবাসের দিনগুলো নিয়ে শেখ হাসিনার একটি লেখা টার্নিং পয়েন্টসে থাকছে, যা এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত হয়েছিল।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট ও উন্নয়ন নিয়ে নিজের ভাবনাগুলো একটি লেখায় মেলে ধরেছেন। খুশি কবির লিখেছেন জলবায়ু পরিবর্তন আর পরিবেশের বাস্তবতা নিয়ে।
অসলো বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড জয়ী সেলিমা আহমাদ লিখেছেন বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের মডেল নিয়ে, যা এ দেশের পুরুষপ্রধান সামাজিক ব্যবস্থায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নিরন্তর রাজনৈতিক সংঘাতে ক্ষত বিক্ষত হতে হতে এগিয়ে চলা এই জাতি নিজেদের ইতিহাসকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি দেশে গোঁড়ামি কীভাবে খুঁটি গেড়েছে, আর ধর্মীয় উগ্রবাদীরা কী করে মূল ধারার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে- সেসব প্রশ্নও এসেছে টার্নিং পয়েন্টসের কয়েকটি নিবন্ধে।
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বর্তমান উচ্চতা থেকে সুবীর ভৌমিক বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্ভাবনার দিকগুলো পর্যালোচনা করেছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট আর মানব অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞান ভাবনা এবং ফুটবলকে ছাপিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ক্রিকেটের জনপ্রিয় হয়ে ওঠার ইতিহাসেও আলো ফেলেছে টার্নিং পয়েন্টস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মুখপাত্র বলেন, “লেখার বৈচিত্র্য আর প্রাসঙ্গিক ছবির কারণে টার্নিং পয়েন্টস সংগ্রাহকদের আগ্রহের ম্যাগাজিনে পরিণত হবে; অনেকেই নিজেদের বুক শেলফে একটি কপি পেতে চাইবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।”