বংশগত কারণে অমনোযোগী শিশু

সন্তান স্কুলে যেতে চাইছে না বা পড়াশুনায় ফাঁকি দিচ্ছে! তাকে বকা দেওয়ার আগে দুবার ভাবুন। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ স্বভাবের পেছনে অনেকটাই দায়ী মা-বাবার ‘জিন’।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2015, 11:02 AM
Updated : 10 April 2015, 12:44 PM

গবেষকরা বলেন, শিশুদের পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার জন্য তাদের ‍দুষ্টামিকে সবসময় দোষারোপ করা ঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রেই মা-বাবার থেকে পাওয়া জিনের প্রভাবে বাচ্চাদের মধ্যে পড়াশোনা এবং স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা দেখা দিতে পারে।

১৩ হাজারেরও বেশি যমজ শিশুর উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায় তাদের মধ্যে পড়াশুনার যে আগ্রহ তার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ প্রভাবিত করে মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া ‘জিন’।

দ্য ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি’র মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং গবেষণাটির সহকারী লেখক স্টিফেন পেটরিল বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে মা-বাবার জিন সন্তানদের ব্যক্তিত্বে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তারমানে এই না যে শিশুদের পড়াশুনার ব্যাপারে উৎসাহী করা হয় না। তবে গবেষণায় যা দেখা গেছে তা বাস্তবতা। আর এর কারণে বাচ্চাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অভ্যাস লক্ষ করা যায়।”

গবেষকরা ধারণা করেছিলেন, শিশুদের পড়াশুনার আগ্রহের পেছনে তাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, বাবা-মা এবং শিক্ষকদের ব্যবহার এবং অন্যান্য বিষয় জেনেটিকসের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তবে যমজ শিশুদের মধ্যে গবেষণা করে দেখতে পান তাদের আগ্রহকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রভাবিত করে মা-বাবার ‘জিন’।

যমজ শিশুকে আলাদা পরিবেশে রেখে পড়াশুনা করানো হলেও তাদের মধ্যে জিনের প্রভাব একই পরিমাণে লক্ষ করা যায়।

পেট্রিল বলেন, “যমজ শিশুর আলাদা পরিবেশে, আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে রেখেও তাদের মধ্যে পড়াশুনার আগ্রহের ক্ষেত্রে মিল পেয়েছি আমরা, আর এই বিষয়ই অবাক করেছে আমাদের।”

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, জার্মান, রাশিয়ার নয় থেকে ১৬ বছর বয়সি যমজ শিশুদের উপর জরিপ চালিয়ে গবেষণাটি করা হয়।

ছবি: রয়টার্স।