ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়ার প্যাম আর.টাব (এমডি), দি ওহিও স্ট্যাট ইউনিভার্সিটির গ্যারি ওয়েঙ্ক (পিএইচডি), ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অফ নার্সিং রিসার্চ ম্যারি ইংলার (পিএইচডি)— এদের গবেষণার ফলাফল নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ডার্ক চকোলেটের উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হয়।
মস্তিষ্ক
কোকোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ পলিফেনলস নামে পরিচিত, যা রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্র
কোকোর তিতা স্বাদের অন্যতম কারণ হল এর এপিক্যাটেকিন যৌগ, যা রক্ত চাপ কমাতে পারে। পাশাপাশি সপ্তাহে দুই আউন্স ডার্ক চকোলেট খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।
এই এপিক্যাটেকিন কোষের মাইটোক্রন্ডিয়াল’ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। এটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, আসল বিষয় হচ্ছে এটা এনার্জি বর্ধক। এতে আছে সামান্য পরিমাণ ক্যাফিইন। তাছাড়া চকলেটের রং যত গাঢ় হয় এতে উদ্দীপক রাসায়নিক পদার্থ থিওব্রোমিনের পরিমাণ ততই বেশি থাকে।
মানসিক অবস্থা
মন খারাপ হলেই চকলেট খান। কারণ এতে নেশার প্রাকৃতিক উপাদান এন্ডোরফিন্স ও সামান্য পরিমাণে অ্যানানডামাইড রয়েছে। তবে ঘাবড়াবেন না, এসব উপাদানে নেশা হবে না বরং মস্তিষ্কে সুখের অনুভূতি তৈরি করতে সাহায্য করবে।
তীব্র ইচ্ছা
কখনও কি এমন হয়েছে, খুব চকলেট খেতে ইচ্ছা করছে? চকলেট খেলেই মস্তিষ্কের সামনের উপরের দিক উত্তেজিত হয়। যা থেকে শরীরে সুখের অনুভূতি তৈরি হতে সাহায্য করে।
ওজন কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একেবারেই চকলেট খায় না তাদের থেকে নিত্য চকলেটখোররা হালকা-পাতলা হয়। এটা জেনে আবার হাত ভরে চকলেট খাওয়া শুরু করেন না। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভালো না।
ছবি: রয়টার্স।