শরতের কাশবনে

এখন শরৎকাল। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, নীচে শুভ্র কাশফুলে বাতাসের দোল খাওয়া।

মুস্তাফিজ মামুনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2014, 02:47 PM
Updated : 20 Sept 2014, 01:08 PM

শরতের শুভ্র কাশবনে বেড়ানোর সময় এখনই। দেশের বিভিন্ন জায়গার নদীতীর, খোলা প্রান্তর ছেয়ে গেছে কাশফুলে। ঢাকা শহর এবং আশপাশে এমন অনেক জায়গা আছে। চলুন সেসব কাশবন থেকে ঘুরে আসি

আফতাবনগর

ঢাকা শহরের মধ্যেই আফতাবনগর আবাসিক এলাকার পেছনের দিকটায় ছেয়ে গেছে কাশফুলে। বিটিভি ভবন পেছনে ফেলে রামপুরা সেতু পেরিয়ে ওপার থেকে হাতের ডানে গেলে দেখা মিলবে শুভ্রতায় ঘেরা ভিন্ন এ জগতের।

ওয়াশপুর

ঢাকার কাছেই কাশবনের এই রাজ্য। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ পেরিয়ে বসিলা সেতুর আগে হাতের বাঁয়ে গেলে বিস্তীর্ণ এ কাশবনের দেখা মিলবে। এখানে বিভিন্ন হাউজিংয়ের জায়গাগুলোই মূলত এখন পরিণত হয়েছে কাশফুলের বাগানে।

কাশবনে নারী, ঝিলমিল আবাসিক এলাকা, কেরাণীগঞ্জ। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

কাশবনে শিশু, ঝিলমিল আবাসিক এলাকা, কেরাণীগঞ্জ। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ঢাকা উদ্যান

মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ধরে গাবতলী যেতে হাতের বায়ে ঢাকা উদ্যান হাউজিং। এখান থেকে একটি সড়ক চলে গেছে বুড়িগঙ্গা নদীর দিকে। এ হাউজিংয়ের বালু ভরাট করা প্লটগুলো এখন কাশবনে পরিপূর্ণ। এখানেও বেড়িয়ে আসতে পারেন কোনো এক বিকেলে। 

আশুলিয়া

ঢাকার মিরপুর থেকে বেড়িবাঁধ যেতে আশুলিয়ার আগেই পাওয়া যাবে বিশাল কাশবন। মূলত রাজধানীর উত্তরা আবাসিক এলাকার পেছনের দিক এটি। উত্তরার মাসকট প্লাজার সামনের রাস্তা ধরেও এসব কাশবনে যাওয়া যায়।

ঝিলমিল আবাসিক এলাকা

বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু পেরিয়ে মাওয়া সড়কে যাওয়ার পথে চোখে পড়বে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সাদা কাশবন। এটিই রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক এলাকা। এখানকার বালু ভরাটকরা খালি প্লটগুলোই ভরে গেছে কাশফুলে। 

লৌহজং

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে লৌহজং সদরের ওপারের চরগুলো এখন কাশবনে পরিপূর্ণ। লৌহজং থানার ওপারের নদীর চরে পদ্মা রিসোর্টের আশপাশের পুরো এলাকাই শুভ্র কাশফুলে ছেয়ে আছে। এছাড়া মাওয়া ঘাট থেকে ওপারের চরগুলোও কাশফুলে ভরা এখন। ঢাকার ফুলবাড়িয়া কিংবা বাবুবাজার সেতু, লৌহজং যাওয়ার বাস সার্ভিস আছে। এছাড়া বাসে মাওয়া যেয়ে সেখান থেকেও সহজেই লৌহজংয়ে যাওয়া যায়। ভাড়া ৬০-৭০ টাকা। 

কাশবনে শিশুরা। ছবিটি ঢাকা উদ্যান থেকে তোলা। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

বুড়িগঙ্গার তীরে কাশফুল। ছবিটি ওয়াশপুর থেকে তোলা। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

যমুনার চর

আরিচা লঞ্চ ঘাটের আশপাশের এলাকার চরগুলোতেও এখন বিস্তর কাশবন। লঞ্চঘাট থেকে হাতের বাঁয়ে যমুনার তীর ঘেঁষে গ্রামের দিকে গেলে বিস্তীর্ণ কাশবনের দেখা মিলবে।

ঢাকার গাবতলী থেকে শুভযাত্রা ও লাক্সারি বাস সার্ভিসে যেতে পারেন অরিচা। ভাড়া ৮০ থেকে ১শ' টাকা জনপ্রতি। সেখান থেকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে চরে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

যে কোনো ছুটির দিনে কিংবা অফিস শেষে একটু সময় বের করেই বেড়িয়ে আসতে পারেন কাশবন থেকে। তবে এসব জায়গায় একাকী বেড়াতে না যাওয়াই ভালো। জায়গাগুলোর বেশিরভাগই নির্জন ও জনমানবহীন। ভ্রমণে যাওয়ার সময় সঙ্গে হালকা খাবার ও পানীয় নিয়ে নিন।