২০১৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয় দায় জাং গুম'এর যাত্রা। অবস্থান একেবারে গুলশান ক্লাব লাগোয়া। দুইটি ফ্লোর মিলে বসার ব্যবস্থা আছে প্রায় একশজনের মতো।
এখানে প্রতিটি টেবিলের সঙ্গে আছে গ্যাসের চুলা! হ্যাঁ, কিছু খাবার চাইলে আধা রান্না করে টেবিলে দেওয়া হবে। বাকিটা সেরে নিতে পারবেন অতিথিরাই। আবার চাইলে এখানকার কর্মীরাও আপনার সামনে টেবিলেই বানিয়ে দিবে খাবার। কোরিয়াতে নাকি এই ভাবেই রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার চল আছে। জানালেন এখানকার ম্যানাজার আবুল কালাম।
রেস্তরাঁর ভেতরে ঢুকলে মনে হতে পারে কোনও কোরিয়ান বা জাপানির ঘরে ঢুকেছেন! ঘরোয়া, সাধারণ ও ছিমছাম পরিবেশ। চেয়ার ও টেবিলগুলো বেশ সুন্দর ও যত্নে সাজানো। বেশ পরিষ্কার। দেয়ালের কিছু শিল্পকর্ম বা জানালাগুলোর ধরণ একটি-দুটি কাঠের ক্যাবিনেট আর ৩-৪টি গলফের ট্রফি ঘরোয়া পরিবেশকে আরও জোড়ালো ভাব এনে দিয়েছে।
বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়ে একজন সার্বক্ষণিক কোরিয়ান শেফের তত্ত্বাবধানে চলে রসুইঘর।
স্টারটারে কিমচি ভালো লাগবে যদি আপনি সবজি পছন্দ করেন। ফারমেনটেড হওয়ার জন্য একটু কড়া লাগবে আর কিছু উপকরণ আবার আমাদের জন্য নতুন নয়, যেমন কলমিশাক, মূলা ইত্যাদি। সঙ্গে চাইলে কিছু সস চেখে দেখতে পারবেন।
চাইলে নিতে পারেন জিনসেং চিকেন। চিকেনকে স্টাফড করা হয়, মেলানো হয় জিনসেং তার পর সিদ্ধ করা হয় ৩ ঘণ্টা ধরে! এই জিনসেংকে আবার কোরিয়ান সংস্কৃতিতে শরীরের জন্য উপকারি বলে ধরা হয়।
বিবিমবাপ হতে পারে একটি আদর্শ কোরিয়ান খাবার! ভাতের সঙ্গে মেলে বিফ ও সবজি, উপরে দেওয়া হয় একটি ডিম ভাজা। দাম ৬৫০ টাকা। এই ডিশের ২-৩টি ভ্যারাইটি এখানে মিলবে। একটিতে আছে স্কুইড যদি সিফুডে আগ্রহ থাকে।
চেখে দেখার জন্য আরও আছে বারবিকিউ স্টাইলের বেশ কিছু চিকেন ও বিফের ডিশ। সুপ, নুডুলস তো আছে বেশ ক'পদের।
দুইজনের জন্য সর্বনিম্ন তিন কোর্স ডিনারে খরচ হতে পারে জনপ্রতি ১ হাজার ৫শ' টাকার মতো, জানালেন কামাল।
খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা অবধি। ঠিকানা: বাড়ি ৫০, রোড ১১বি, গুলশান ২।