বিবিকিউ

প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো বিবিকিউ নামটা দেখেই যেন কেউ মনে না করেন বারবিকিউ বিষয়ক কোনও কথা হচ্ছে। 'চিকেন' দিয়ে তৈরি খাবারের জন্য কোরিয়ার অন্যতম এই রেস্তোরাঁর নামের সম্পূর্ণ অর্থ, তাদের ভাষায় ‘বেস্ট অফ দ্য বেস্ট কোয়ালিটি’।

মিথুন বিশ্বাসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2014, 05:09 PM
Updated : 13 Sept 2014, 09:30 AM

চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই  কোরিয়ান রেস্তোরাঁ ঢাকাতেও যাত্রা শুরু করেছে।

আরও একটি কথা— এখানে কিন্তু আলাদা করে কোরিয়ান স্বাদের কোনও খাবার বিক্রি করা হয় না।

মুরগির পাশাপাশি এখানে মিলবে পিৎজা, পাস্তা, সুপ, রাইসের কিছু ডিশ, কফি ও মিঠাই।

১৭৫/এ গুলশান এভিনিউর বাড়িটি চোখে পড়বে বাইরের অংশের রং ও কংক্রিটের কাজ দেখে। দুই ফ্লোর মিলিয়ে ১৫০ জনের বসার ব্যবস্থা। এরই মধ্যে বারান্দায় চাইলে বসতে পারবেন ২০ জন। অন্দরসজ্জা আধুনিক ও সাজানো-গোছানো। বসার চেয়ারগুলো আরামদায়ক। ভেতরের অংশও বেশ রংচঙে।   

বিবিকিউর দাবি- সব খাবারে, এমনকি চিকেন ফ্রাইয়েও ব্যবহার করা হয় অলিভ অয়েল। এ দাবি সত্যি হলে তো খারাপ না, কারণ মোটাদাগে অলিভ অয়েলকে বেশ স্বাস্থ্যসম্মত বলেই ধরে নেওয়া হয়।

‘অলিভ টেন্ডার স্ট্রিপস’ সালাদ বেশ লাগবে। মচমচে মুরগির স্ট্রিপসের সঙ্গে লেটুস, চেরি টমেটো যেমন আছে, তেমন আছে অলিভ অয়েল আর সুস্বাদু ‘হানি মাস্টার্ড’ সস। সর্ষে-মধুর মিশ্রণে বেশ মুখরোচক এই সস— বললে খুব বড় ভুল হবে না। ৪৩৫ টাকার এই খাবারের স্বাদ অনায়াসে নিতে পারবেন দুইজন।  

বিবিকিউর ম্যানেজার মুনির আহমেদ জানান, সব ধরনের সস আমদানি করা।

“খাবারের মান ভালো রাখার জন্যই এই আমদানি করা উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তাছাড়া ফ্রাঞ্চাইজি হওয়ার কারণে একই মান পৃথিবীর সবখানেই এক রাখাটাও জরুরি।”

আহমেদ আরও জানালেন, সারা পৃথিবীজুড়ে এই কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের হাজার পাঁচেক রেস্তোরাঁ আছে।

মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ কোরিয়ান ‘চারবয়েল্ড চিকেন’। মুরগির থাইয়ের মাংস ব্যবহার করা হয় বলে নরম হয় খেতে। আবার গ্রিল করা বলে এর স্মোকি ফ্লেইভার মুখে ও নাকে বেশ লেগে থাকবে।

রেস্তোরাঁর সাধারণ ব্যবস্থাপক কামাল হোসেইন বলেন, “বিশেষ পদ্ধতিতে ছয় ঘন্টারও বেশি সময় মেরিনেইড করা হয় থাইয়ের নরম ও সুস্বাদু অংশ।”

আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য দিলেন হোসেইন, এই চারবয়েল্ড চিকেন অতিথিরা চাইলে বেশি ঝাঁঝালো করে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এক ধরনের মরিচের প্রলেপ পড়বে মাংসের উপরের অংশে। আর এর স্বাদ নিলে নাকি চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসবে।

বাঙালির ঝাল খাওয়ার অভ্যাস তো নতুন নয়! পরখ করে দেখবেন নাকি ঝাল সহ্য করার মাত্রা!

পাস্তার একটি বেশ চমকপ্রদ উপস্থাপন আছে এখানে। ‘পানে’ ক্রিম পাস্তা (ইতালিয়ান ‘পেনে’ নয়) পরিবেশন করা হয় বড় আকারের পাউরুটির মধ্যেখানে গোল করে কেটে। পাস্তার মধ্যে বিফ বেইকনের গন্ধ ও লবণাক্ত স্বাদের মধ্যে চিজ আর চিংড়ির কয়েক টুকরার মিশেল- বেশ অন্যমাত্রা যোগ করবে। দুইজনে সুন্দরমতো খাওয়া যায়। দাম ৬৭৫ টাকা।   

বেশ কয়েক পদের রঙিন পানীয় আছে। রাসবেরি, গ্রিন অ্যাপল, স্ট্রবেরি ফ্লেইভারের পানীয় যেমন আছে তেমনি আছে গ্রিন টি ও কফি। ৯০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ২৯৫ টাকার মধ্যেই পড়বে পানীয়ের দাম। আছে বেশ কয়েক রকম কেক।       

এখানে সার্বক্ষণিক আছেন একজন কোরিয়ান শেফ। খোলা থাকে সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।

ঠিকানা: ১৭৫/এ, গুলশান এভিনিউ, গুলশান-২   

ছবি: মামুনুর রশীদ শিশির