উঁচুতে দ্রুম

‘আনলাকি থার্টিন’ মোটেই নয়, বরং তেরতলায় ক্যাফে দ্রুমে খেতে খেতে উপভোগ করা যায় ধানমণ্ডির সুউচ্চ পরিবেশ।

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2014, 02:32 PM
Updated : 29 August 2014, 02:32 PM

চার বছর আগে যাত্রা শুরু করে ক্যফে দ্রুম। তবে ধানমণ্ডির ৯/এ-তে রেস্তোরাটি এসেছে এই বছরের মার্চ মাসে, জানালেন ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর সবুর।

“আর বন্ধুদের সঙ্গে খেতে খেতে গল্পগুজব করার মতো করেই রেস্তোরাটি তৈরি।” বললেন ক্যাফে দ্রুমের কর্ণধার ত্রিশা সামিরা।

সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকা এই রেস্তোরাঁর সাজসজ্জায় সবুজের আধিক্য চোখে পড়ার মতো। আর তেরতলার উপর থেকে ব্যস্ত ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোডের দৃশ্য যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

র‌্যাংগস কেবি স্কয়ার ভবনের সবচেয়ে উঁচু তলার এই রেস্তোরাঁর অন্দরসজ্জা বেশ নজরকাড়া। কালো রংয়ের চেয়ার-টেবিলের সঙ্গে কমলা রংয়ের কুশনের সমন্বয় চোখ জুড়াবে। এছাড়া একটু পা ছড়িয়ে আড্ডা আর ঘরোয়া আমেজে বসে খাওয়ার জন্য রয়েছে ‘যোগআসন’। প্রায় সবগুলো টেবিলের পাশেই পাবেন টবে রাখা ছোট ছোট গাছ। বাইরের বারান্দায় বসার জন্য চেয়ারের বদলে রাখা হয়েছে পাটের দড়ির মোড়া।

ক্যাফে দ্রুমে কফির পাশাপাশি পানীয় হিসেবে পাবেন লেমোনেইড, জিরা পানি, চার ধরনের শেইক, তিন ধরনের ফলের জুস ও চার ধরনের চা।

ভারি খাবারের মধ্যে পেরি পেরি চিকেন, বার-বি-কিউ চিকেন, টি-বোন স্টেক ও সিচ্যুয়ান স্টেক সবচাইতে বেশি চলে বলে জানালেন আব্দুর সবুর।

পেরি পেরি চিকেনের দাম ৫২৫ টাকা। বার-বি-কিউ চিকেন পাবেন ৩৩০ টাকায়। টি-বোন স্টেক এর দাম ৭৫০ টাকা এবং সিচ্যুয়ান স্টেক পাবেন ৩৩০ টাকা। এছাড়াও কোরাল মাছের স্টিমড রেড স্ন্যাপার ডিশটাও ভালই জনপ্রিয়, দাম পড়বে ৬৫০ টাকা।

স্ন্যাকস আইটেমে আছে বাফেলো উইংস। ষাঁড়ের পাখা নামটি শুনে চোখ কুচকে যেতে পারে অনেকেরই, তবে ষাঁড় নয়, মুরগি দিয়েই তৈরি হয় এই খাবার। প্রচলিত চিকেন উইংসের আমেরিকান খাবারটির স্বাদে নতুনত্ব আনতে রেস্তোরাঁর রন্ধনশিল্পীরা ব্যবহার করেছেন ভিন্ন ধরনের কিছু মসলা, জানালেন আব্দুর সবুর। এছাড়াও আছে কয়েক ধরনের চাওমিন, সালাদ ও সুপ।

রাঁধুনী হিসেবে আছেন দুজন। চীনা খাবারের দায়িত্বে আছেন জিং লিংয়ের সাবেক রাঁধুনী উজ্জ্বল কাস্তা। আর ভারতীয় খাবারের দায়িত্বে আছেন লাভলু।

গরমের সময়ও এই রেস্তোরাঁয় বয়ে যায় ঠান্ডা বাতাস। সপ্তাহের যেকোনো দিন উঁচুতলার পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে খারাপ লাগবে না কারোরই।