এবারের ঈদে দেশীয় পোশাকঘর বিবিয়ানার রয়েছে সহস্র আয়োজন। সেসব থেকে পছন্দের তিনটি পোশাকের ভালোলাগার কথা জানালের এই প্রতিষ্ঠানের নকশাকর ও কর্ণধার লিপি খন্দকার।
লিপির ভাষায়, “এবার ঈদ হচ্ছে বর্ষায়। পাশাপাশি বেশ গরমও আছে। তাই পোশাকগুলোর ডিজাইন করা হয়েছে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে। বেশিরভাগ পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করেছি সুতি কাপড়। তাছাড়া আমার মনে হয় বর্ষা মানেই শুধু নীল নয়, এই মৌসুমে ঘটে রংয়ের সমারহ। তাই পোশাকেও ব্যবহার করেছি অনেক ধরনের রং।”
ওড়না নয়, কোটি
পোশাকের চলতি ট্রেন্ড লং কামিজ। এই ধারার সঙ্গে মিলিয়ে ফিরোজা সবুজ মিশেল, ময়ূরকণ্ঠি নীল এবং বেগুনির কম্বিনেশনে তৈরি করা হয়েছে লং কামিজটি। সঙ্গে আছে চুড়িদার। পুরো কামিজ জুড়ে থাকছে সুতায় করা হাতের কাজ। তবে বেগুনি রংয়ের স্লিভলেস কামিজটির শোভা বাড়াতে ওড়নার বদলে যুক্ত করা হয়েছে থ্রি-কোয়ার্টার হাতার ফিরোজা রংয়ের কোটি। কোটির হাতার রং বেগুনি। তবে ইচ্ছে করলে কোটি ছাড়াও কামিজটি পরা যাবে। অবশ্য এরজন্য আলাদা করে ওড়না কিনে নিতে হবে। পুরো পোশাকটির দাম সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
লিপি খন্দকার মনে করেন, বর্ষা মানেই রংয়ের সমারহ। তবে বৃষ্টির কথা মনে হলেই যে রং মনে হয়, তা হল নীল। তাই ভয়েল কাপড়ের উপর নীল, এমারাল্ড গ্রিন এবং ফিরোজা রংয়ের স্ক্রিন প্রিন্ট করা লং কামিজের সঙ্গে ফিরোজা রংয়ের পালাজ্জো। কমলা, লাল, সবুজ ও হলুদ রংয়ের কাপড়ের উপর হাতের কাজ করে তা বসানো হয়েছে পাড় হিসেবে। ওড়নায় রয়েছে প্রতিটি রং দিয়ে হাতের কাজ। পোশাকটির দাম ১ হাজার ৮শ’ টাকা।
রিক্সার ঝালর নিয়ে বিবিয়ানা প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছে। আর সেই থিমেই ডিজাইন করা হয়েছে লাল রংয়ের লং কামিজটি। সঙ্গে চুড়িদার। পুরো কামিজ জুড়ে রয়েছে মাল্টি কালারের সুতায় করা হাতের কাজ এবং অ্যাপ্লিক। ঈদে রাতের কোনো দাওয়াত বা অনুষ্ঠানের জন্য দারুণ এই পোশাক। ওড়নাতেও রয়েছে বিভিন্ন রংয়ের সুতায় করা হাতের কাজ। দাম ৩ হাজার ৩শ’ টাকা।