সুস্থ্ থাক কিডনি

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নয়। ফলে কিডনি বা বৃক্ক সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত এই বিষয়ে খেয়াল রাখারও প্রয়োজন হয় না।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2014, 11:54 AM
Updated : 5 July 2014, 07:22 PM

অনেকেই মনে করেন বয়স বাড়লে কিডনির অসুখে ভোগার সম্ভাবনা বেশি। বাস্তবতা হচ্ছে যে কোনো বয়সেই এই অঙ্গ বিকল হতে পারে।

কিডনি বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিশু কিডনি রোগের ডাক্তার আ.ন.ম. সাইফুল হাসান বলেন “শিশু থেকে যেকোনো বয়সের মানুষই কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।”

সাইফুল হাসানের তথ্য অনুসারে, বংশানুক্রমিকভাবে এবং অনিয়ম দুটি কারণেই কিডনি রোগে মানুষ আক্রান্ত হন।

বংশানুক্রমিক কারণে এই রোগে আক্রান্ত না হলে— পর্যাপ্ত পানি পান না করা, বেশি পরিমাণে লবণ খাওয়া, প্রস্রাব আটকে রাখা, অতিরিক্ত ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা, অধিক মদ্যপান, ওষুধ গ্রহণে অনিয়ম, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব ইত্যাদি কারণে কিডনি রোগ হতে পারে।

জ্বর, কোমরে ব্যথা, দুর্বলতা অনুভব করা, অতিরিক্ত বা অল্প প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, অরুচি, ওজন কমে যাওয়া, শরীরের পানি আসা এবং ফুলে যাওয়া ইত্যাদি কিডনি রোগের লক্ষণ বলেই জানালেন ডা. সাইফুল।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিলেন এই ডাক্তার।

ডা. সাইফুল বলেন, "তবে একটু সচেতন হলেই এড়ানো সম্ভব কিডনি রোগ।"

তার পরামর্শ অনুযায়ী— পর্যাপ্ত পানি পান করা, বেশিমাত্রায় লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকা, ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া, মদ্যপান পরিহার করা, নিয়ম অনুসারে ওষুধ খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া, ইত্যাদি মেনে চললেই অনেকাংশে কিডনি রোগের ঝুঁকি কমে আসে বলেই জানান ডা. সাইফুল হাসান।

এক কথায় বলা যায়, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন সেই সঙ্গে রোগের লক্ষণ দেখা মাত্র প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা শুরু করা গেলে কিডনি সুস্থ্য রাখা সম্ভব।