ভাসাভির ফ্যাশন শো (ভিডিওসহ)

আসছে ঈদে চলতি ট্রেন্ড আর ঐতিহ্যের মিশেলে জমকালো পোশাকের সংগ্রহ নিয়ে এসেছে ভাসাভি। ২০ জুন শুক্রবার তাদের গুলশান আউটলেটে এক ফ্যাশন শোয়ের মাধ্যমে এবারের ঈদ সংগ্রহের উদ্বোধন করলো প্রতিষ্ঠানটি।

সেঁজুতি শোণিমা নদীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2014, 12:07 PM
Updated : 28 June 2014, 02:27 PM

বরাবরের মতোই নারীদের জন্য শাড়ি আর সালোয়ার-কামিজের সংগ্রহ নিয়ে এসেছে ভাসাভি। চলতি ট্রেন্ড অনুসারে দেখা সাধারণ সালোয়ারের পাশাপাশি দেখা গেল পালাজ্জো প্যান্ট।

পুরুষদের সংগ্রহেও ছিল নতুন চমক। ঈদের ঐতিহ্য অনুসারে পাঞ্জাবি, কুর্তা তো ছিলই, আলাদা করে চোখে পড়েছে ওয়েস্ট কোটের এক স্বতন্ত্র সমাহার।

ভাসাভি এবার তাদের শাড়ির সংগ্রহে বৈচিত্র্য এনেছে কাপড় আর রংয়ের ব্যাবহারে। ফ্যাশন শোয়ের প্রথম কিউতে ছিল ঐতিহ্যবাহি, তবে উজ্জ্বল রংয়ের সিল্কের শাড়ির প্রদর্শনী। ফিরোজা, ফুশিয়া গোলাপি, কাঁচাহলুদ জমিনে পেটানো জরির কাজের এই সব শাড়ি পড়েই র‌্যাম্পে হাঁটলেন ভারত ও বাংলাদেশের নারী মডেলরা।

পরের কিউটিতেই আরো একবার উজ্জ্বল রংয়ের ঝলমলে উপস্থিতি। এবারের গরমে উজ্জ্বল নিয়ন রং ব্যাবহারের যে ট্রেন্ড চালু হয়েছে, সেটাই দেখা গেল এসব শাড়িতে। ঐতিহ্যবাহি কাঞ্জিভরম আর বেনারসিতে চেক মোটিফ আর অ্যাম্ব্রোয়েডারির ব্যাবহার শাড়িগুলো হয়ে উঠেছে অনন্য।

তবে কেবল সিল্কেই সীমাবদ্ধ থাকেনি ভাসাভির শাড়ির সংগ্রহ। শোয়ের পঞ্চম কিউয়ে যেমন দেখা গেল মসলিন আর তসর শাড়ির সংগ্রহ। এসব শাড়িতে ব্যাবহার করা হয়েছে ভারি অ্যাম্ব্রোয়েডারি আর জরির কাজ।

ষষ্ঠ কিউয়ে ভাসাভি নিয়ে আসে তাদের বিশেষ তিন শাড়ি। লেইস, তসর আর মসলিনের উপর জারদৌসি, সিকুইন আর হাতের কাজের শাড়িগুলো পার্টি ওয়্যারের জন্য দারুণ মানানসই।

সালোয়ার-কামিজের সংগ্রহেও একইভাবে বৈচিত্রের খেলা বজায় রেখেছে ভাসাভি। কাপড়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে নেট এবং জর্জেটের ব্যবহার। তার সঙ্গে অ্যাম্ব্রোয়েডারি, সিকুইন আর জারদৌসির জমাকালো কাজ তো আছেই। গ্রীষ্মের আরামদায়ক রংগুলো যেমন, চাঁপা-সাদা, হালকা হলুদ, পেস্তা সবুজ থেকে শুরু করে কড়া লাল, গাঢ় সবুজ, উজ্জ্বল গোলপি, সোনালি, রূপালি, কালো- সব রংই দেখা গেছে সালোয়ার কামিজের সংগ্রহে।

গত কয়েকবছরের ট্রেন্ড অনুসারে বড় ঘেরের আনারকলি তো আছেই, লম্বা কামিজে এবার দেখা গেল ফ্লোরাল প্রিন্টের ব্যাবহারও। চোস সালোয়ারের পাশাপাশি ঢিলেঢালা তবে, ফ্যাশনেবল পালাজ্জো প্যান্টের ব্যাবহারও দেখা গেছে এই সংগ্রহে।

ছেলেদের সংগ্রহে প্রচলিত সাদা-কালো পাঞ্জাবির পাশাপাশি উৎসবের ঝলমলে রংগুলোর দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তাই ম্যাজেন্টা, মেরুন, ময়ূরকন্ঠী নীল, সবুজাভ ধূসরের পাশাপাশি দেখা গেছে কাঁচা-হলুদ, কলাপাতা সবুজ, উজ্জ্বল কমলার ব্যবহার।

গলায়, হাতে, বুকে, পিঠে নানারকম মোটিফে এসব কুর্তা আর পাঞ্জাবি সাজানো হয়েছে অ্যাম্ব্রোয়েডারি আর জারদৌসির কাজে। কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট আর কাতান মোটিফের ব্যাতিক্রমি ব্যবহারও আছে চোখে পড়ার মতোই।

পাঞ্জাবি-কুর্তার পাশাপাশি ফ্যাশন শোয়ের পুরো একটি কিউ বরাদ্দ ছিল ওয়েস্ট কোটের প্রদর্শনী।

হাতাকাটা, তবে গলাবন্ধ এসব কোট কুর্তাসহ কিংবা ছাড়াই পরতে পারেন যে কেউ। সাদা, কালো, মেরুন, ধূসর, ঘিয়া- এসব রংয়ের ওয়েস্ট কোটগুলোর কাজের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে ব্যাতিক্রমি নকশা। রংয়ের বৈপরীত্য আর ভিন্ন ধরনের মোটিফের ব্যাবহারই স্বতন্ত্র করে তুলেছে পোশাকগুলোকে।

ভাসাভির এই কালেকশন ঈদের আগ পর্যন্ত পাওয়া যাবে প্রতিষ্ঠানটির সবগুলো আউটলেটেই।