ভোরে উঠুন

সকালে ঘুম থেকে উঠলে সারাদিন কাজ করার জন্য কিছুটা বেশি সময় পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও সকালে ঘুম থেকে উঠা বেশ কার্যকর।

ইরা ডি. কস্তাআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2014, 12:24 PM
Updated : 24 June 2014, 12:42 PM

একটি নির্দিষ্ট সময়ে সারাদিন কাজের পর রাতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাতে গেলে, সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করে।

তবে অনেকেরই রাত জেগে কাজ করা, সিনেমা দেখার বা ভিডিও গেমস খেলার অভ্যাস আছে। আর এই অভ্যাসগুলো সকাল সকাল বিছানা ছাড়তে বাঁধা সৃষ্টি করে।

হাফিংটনপোস্ট ডটকম তাদের এক প্রতিবেদনে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার বিষয়ে করণীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করেছে।

- প্রতিদিনের কাজের যেমন একটি রুটিন করা হয়, তেমনি দিনে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানোর জন্য একটি সময় বেঁধে নেয়া জরুরি। কারণ নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুম হলে তা সারাদিনের কাজে ব্যঘাত ঘটাবে। সারাদিন কাজ করে আমরা যতটুকু শক্তি খরচ করি তা ঘুমের মধ্যেই আবারও সঞ্চয় করা যায়।

- শোবার ঘরে টিভি কখনোই রাখা উচিত নয়। যদি থাকেও ঘুমাতে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগে টিভি বন্ধ করে দেয়া উচিত। ঠিক তেমনি বিছানায় কখনই ল্যাপটপ বা ট্যাব রাখা উচিত নয়। ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘন্টা আগে টিভি বা কম্পিটারের মনিটর থেকে দূরে থাকা উচিত।

- সারাদিনের কাজের শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। তাছাড়া ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর ঘুম আসার জন্য অপেক্ষা না করে বরং জলদি বিছানায় শুয়ে পড়া উচিত। ক্লান্ত শরীরে বসে থাকলে বা অন্য কাজ করলে, আবার ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর বিছানায় না শুয়ে থাকলে তা উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

- সবসময়ই আগে থেকে সারা সপ্তাহের একটি রুটিন তৈরি করে রাখা ভালো। এতে প্রথম দু’তিনদিনে শরীর এই নিয়মে অভ্যস্থ হয়ে গেলে সময়মতো ঘুম আসতে অসুবিধা হবে না।