বুঝে নিন ত্বকের আসল রং

শ্যামলা, কালো বা ফর্সা ত্বক যেমন রয়েছে তেমনি চামড়ার অর্ন্তনিহিত রংয়েও রয়েছে পার্থক্য। যাকে বলে ‘আন্ডারটোন’। সেটা জানা না থাকলে সঠিক প্রসাধনী বাছাই করাও সম্ভব হয় না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2017, 07:43 AM
Updated : 8 June 2017, 08:31 AM

সাজসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, অনেকের ত্বকেই গোলাপি আভা থাকে আবার কারও ক্ষেত্রে থাকে হলদেভাব। এর কারণ ত্বকের ‘আন্ডারটোন’। একই ধরনের গায়ের রংয়ের দু্টি মানুষের ত্বকের আন্ডারটোন ভিন্ন হতে পারে। তাই তাদের ফাউন্ডেশন শেইডও ভিন্ন হবে।

নিজের ত্বকের আন্ডারটোন সম্পর্কে জানার রয়েছে কিছু উপায়।

ধাতু দিয়ে পরীক্ষা: সাদা পোশাক পরে এবং সাদা তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে আটকে নিন। এবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটি রূপার গয়না মুখের সামনে ধরুন। যদি তা দেখতে ভালো লাগে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক ‘কুল আন্ডারটোন’য়ের। অর্থাৎ গোলাপি আভা রয়েছে ত্বকে।

একইভাবে ত্বকের সামনে স্বর্ণের গয়না ধরুন, যদি তা মানিয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে ত্বক ‘ওয়ার্ম আন্ডারটোন’য়ের-মানে ত্বকে রয়েছে হলদেভাব।

যদি দুই ধরনের গয়নাই মানিয়ে তাহলে বুঝতে হবে ত্বক ‘নিউট্রাল আন্ডারটোন’।

শিরা পরীক্ষা: ত্বকের মূল রং বুঝতে শিরার রং যাচাই করা যেতে পারে। হাতের শিরাগুলো ভালোভাবে দেখুন। যদি শিরার রং দেখতে নীলচে বেগুনি মনে হয় তাহলে ত্বকের মূল রং গোলাপি।

শিরায় যদি বেগুনি সবুজভাব থাকে তাহলে ত্বকের মূল রং হলদেটে। যাদের ত্বকের ‘আন্ডারটোন নিউট্রাল’ তাদের শিরার রং হবে নীলচে সবুজ।

ফাউন্ডেশন: ত্বকের মূল রং বোঝার ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন লাগিয়েও পরীক্ষা করা যেতে পারে। ‘নিউট্রাল আন্ডারটোন’ যাদের তাদের ক্ষেত্রে সব ধরনের ফাউন্ডেশন ভালো লাগবে। অন্যদিকে ‘ওয়ার্ম আন্ডারটোন’য়ের ক্ষেত্রে হলদে ফাউন্ডেশন এবং ‘কুল আন্ডারটোন’য়ের ক্ষেত্রে গোলাপি আভাযুক্ত ফাউন্ডেশন বেছে নিতে হবে।

ত্বকের মূল রং জানা থাকলে প্রসাধনী এমনকি পোশাক বাছাইও অনেক সহজ হবে।

কমলা, হলুদ, সোনালি, জলপাই এবং বাদমি রং ‘ওয়ার্ম আন্ডারটোন’য়ের ত্বকে বেশি মানায়। অন্যদিকে উজ্জ্বল সবুজ, উজ্জ্বল নীল, মেজেন্টা ইত্যাদি রংগুলো মানিয়ে যায় ‘কুল টোন’ ত্বকে।

যাদের ত্বক ‘নিউট্রাল আন্ডারটোন’য়ের তাদের রং বাছাইয়ের স্বাধীনতা রয়েছে।