যে ভুলে লাগছে সর্দি

ছোট দিন আর বড় রাত নিয়ে কিছু মানুষের অভিযোগ থাকলেও অনেকের প্রিয় ঋতু শীতকাল। তবে কিছু বদঅভ্যাসের কারণে ঠাণ্ডা মৌসুম উপভোগ করার পরিবর্তে রোগবালাই বাঁধিয়ে পড়ে থাকতে হয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2016, 05:46 AM
Updated : 25 Dec 2016, 05:46 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট তুলে ধরেছে এমন কয়েকটি ভুল।

সঠিক পোশাক: শীতকালে পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কে চাই বাড়তি সতর্কতা। সঠিক পোশাকের মাধ্যমে শরীর গরম রাখতে হবে। অন্যথায় আপনার হতে পারে ‘হাইপোথারমিয়া’। এই রোগে শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলেই সর্দি-কাশি, জ্বর, কাপুনি দেখা দেয়।

পর্যাপ্ত রোদ: শীতের দিনগুলোতে সূর্যের সঙ্গে প্রতিদিন দেখা নাও হতে পারে। তবে যেদিন হবে সেদিন মুখ ঘুরিয়ে রাখা চলবে না। রৌদ্রোজ্জ্বল শীতের দিনগুলোতে ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। এতে ঘর ও শরীর দুটোই উষ্ণ থাকবে। 

প্রতিদিন গোসল: গোসল করলে নিজেকে সতেজ মনে হয়। তবে শীতের দিনে প্রতিদিন গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়। ধ্বংস হয় বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া, যা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই বলে টানা তিন/চার দিন গোসল না করাটাও অনুচিত।

শরীরচর্চা: শীতের আলসেমিতে ব্যায়াম করতে ইচ্ছে হয় না অনেকেরই। তবে মনে রাখতে হবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে শরীরচর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামাগারে গিয়ে ব্যায়াম না করলেও মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটির শরীরচর্চা হিসেবে ধরা হয়। আর সর্দি-কাশির ভাইরাস দূরে রাখতেও এটুকু যথেষ্ট।

পানি শূন্যতা: শীতকালে তৃষ্ণার অনুভুতি গরমের দিনের মতো অনুভুত হয় না। ফলে পানি পান করার পরিমাণও করে যায়। তবে শরীরে পানির চাহিদা কিন্তু কমে না। তাই তৃষ্ণা অনুভুত না হলেও পানি পানের পরিমাণ খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে মুত্র তৈরি বাড়তে, ফলে শরীর থেকে অনাকাঙ্খিত ভাইরাস বেরিয়ে যাবে। 

মৌসুমি ফল: প্রক্রিয়াজাত ফল-সবজির পরিবর্তে সতেজ মৌসুমি ফল-সবজির দিকে বেশি জোর দিতে হবে। লেবু, কমলালেবু, আঙুর ইত্যাদি ফলগুলো শীতকালীন ফল যা শরীরের সিট্রাসের অভাব পূরণে উপকারী।

উষ্ণ পানীয়: শরীর গরম রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক উষ্ণ পানীয়। এক্ষেত্রে অন্যতম উপকারী পানীয় জাফরান মিশ্রিত দুধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দৃঢ় করে। আর অতিরিক্ত কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে পানিশূন্যতা হতে পারে।

ছবি: রয়টার্স।