রুপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় দাগ হাল্কা করার কিছু ঘরোয়া উপায়।
অ্যালোভেরা: বা ঘৃতকুমারীর জেল ত্বকের ক্ষত কমিয়ে ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে। এই কারণেই দাগ কমানোর নানা রকম প্রসাধনীতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এটি ব্যবহার ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
ব্যবহার- অ্যালোভেরার সবুজ অংশটি ছাড়িয়ে তা থেকে জেল বের করে নিতে হবে। এরপর এটি দাগের উপরে বৃত্তাকারে মালিশ করতে হবে। ৩০ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, কখনও খোলা ক্ষতস্থানে অ্যালোভেরার জেল লাগানো ঠিক নয়।
ব্যবহার- খানিকটা নারিকেলের তেল গরম করে তা হাতের তালুতে ঢালতে হবে। এরপর এটি আক্রান্ত স্থানের উপর পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় নিয়ে মালিশ করতে হবে।
লেবু: এতে আছে আলফা হাইড্রোক্সাইড যা সব ধরনের ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ সরাতে ও নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। লেবুর ভিটামিন ‘সি’ ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে ও ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সুস্থ করার পাশাপাশি এর ব্লিচিং উপাদান দাগ হাল্কা করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার- খানিকটা লেবুর রস সরাসরি দাগের উপরে লাগান। দশ মিনিট অপেক্ষা করার পর হাল্কা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক নাজুক হলে এর সঙ্গে গোলাপ জল অথবা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল মিশিয়ে নিন। লেবুর রস লাগানোর পরপরই রোদে যাওয়া ঠিক নয়। আর রোদে গেলেও কোনো ভাবেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করার কথা ভুললে চলবে না।
চন্দনের গুঁড়া: এতে আছে ত্বক পুনর্গঠন ও মসৃণ করার ক্ষমতা যা সব ধরণের ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে।
‘টি ট্রি’ তেল: ত্বক সুন্দর রাখতে ও দাগ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি উপাদান ত্বক সুস্থ রাখে।
ব্যবহার: ২ টেবিল-চামচ পানির সঙ্গে চার ফোটা ‘টি ট্রি’ তেল মেশাতে হবে। দিনে দুতিনবার মিশ্রণটি লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানটি পরিষ্কার করতে হবে। প্রথমবারের মতো টি ট্রি ব্যবহার করা হলে ‘প্যাচ টেস্ট’ অর্থাৎ এলার্জি পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এবং এটি কখনও কোনো মিশ্রণ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত না।