হাতের কাছে স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায় এই ফল।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলেন, “কলার রয়েছে অসাধারণ গুণাগুণ যা নানান রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরে শক্তি যোগায় নানামুখি শারীরিক সমস্যা দূর করে।”
কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তিনি আরও জানান:
- কলাতে ভালো পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় প্রায় ১২০ গ্রাম ক্যালরি থাকে।
- এতে রয়েছে আয়রন। প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় ০.০৬ মি.গ্রা. আয়রন থাকে।
- প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় ৮৫ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সাহায্য করে।
- এতে সামান্য পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
- কলাতে সব রকমের ভিটামিন বি অর্থাৎ বি কমপ্লেক্স রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রামে ৮ মি.গ্রা বি কমপ্লেক্স থাকে।
এছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম কলাতে ৫০ মি.গ্রা ফসফরাস, ০.৩০ গ্রা চর্বি, ০.৪০ভাগ আঁশ, ১.২ গ্রাম প্রোটিন, ০.০৮ গ্রাম খনিজ লবণ, প্রায় ৭০.১ গ্রাম পানি পাওয়া যায়।
ফারাহ মাসুদা বলেন কাঁচা ও পাকাকলা দুটোই শরীরের জন্য খুব উপকারি।
কাঁচাকলা
ডায়রিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এতে সামান্য আয়রন থাকে। কাঁচাকলার খোসায় বিটা ক্যারোটিন থাকে যা ভিটামিন এ’র কাজ করে বলে জানান এই অধ্যাপক।
এটি ভর্তা বা চপ বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও কাঁচাকলা রোগীর পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম যা স্নায়ু ও পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ায়। কাঁচাকলার ক্যালশিয়াম হাড় গঠন ও তা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পাকাকলা
* পাকা কলা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
* নিয়মিত কলা খাওয়া হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
* কলাতে বি সিক্স থাকে যা মানসিক অবসাদ দূর করে ও মন প্রফুল্ল করে।
* এতে আছে প্রচুর আয়রন। যা রক্তের হিমোগ্লোবিন সৃষ্টি করে ও রক্ত শূণ্যতা দূর করে।
* পাকা কলার ভিটামিন বি সিক্স, বি টুয়েল্ভ এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের নিকোটিনের প্রভাব কমায়।
ফারাহ মাসুদা বলেন, “পাকাকলা পেটের জন্য উপকারি। তবে অনেকের খালি পেট কলা খেলে গ্যাস সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে খালি পেতে কলা না খাওয়াই ভালো।”
তাছাড়া শরীরে জন্য রাতে কলা ভালো না বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সাগর কলার তুলনায় দেশি কলা- যেমন: সবরি, চাম্পা, বাংলা, বিচিকলা ইত্যাদির পুষ্টিগুণ ও কার্যক্ষমতা বেশি।
ছবি: দিপ্ত।