ভুলভাবে ‘ফ্লস’ করায় ক্ষতি

সুতা দিয়ে নয়, ব্রাশ করাই দাঁত পরিষ্কারের ভালো উপায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2015, 11:10 AM
Updated : 20 Oct 2015, 11:13 AM

দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণা আটকে থাকলে তা থেকে সৃষ্টি হয় প্রদাহ ও বিভিন্ন রোগবালাই। এই আটকে থাকা খাদ্যকণাগুলো অপসারণের উদ্দেশ্যেই মূলত ‘ফ্লস’ করা হয়।     

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি’র দন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবিন সিমোর বলেন, “ফ্লস করার জন্য থাকতে হবে পারদর্শীতা। কারণ এই কাজে ভুল হলে উপকারের পরিবর্তে হতে পারে ক্ষতি।”

ফ্লস করতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষই খাদ্যকণা অপসারণের পরিবর্তে তা মাড়ির আরও ভেতরে ঢুকিয়ে দেন এবং সেখানেই রেখে দেন।

অনেকেই আবার দাঁতের ফাঁকে ফ্লস ঢুকিয়ে সামনে পেছনে টানাটানি করেন। এতে আটকে থাকা খাদ্যকণা পুরোপুরি অপসারণ হয় না। উল্টো মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। 

সিমোর বলেন, “ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করাই দাঁত ভালো রাখার উৎকৃষ্ট উপায়। এজন্য আদর্শ হবে বৈদ্যুতিক টুথব্রাশ। পরে ব্যবহার করতে হবে অ্যালকোহল নেই এমন মাউথওয়াশ।

দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা অপসারণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ বেশ কার্যকর। 

সিমোর আরও বলেন, “মাইথওয়াশ ব্যবহার ফ্লসের মতোই কার্যকর। আর বেশিরভাগ মাউথওয়াশেই থাকে ফ্লুরাইড যা দাঁত নষ্ট হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়।”

“আমি সবসময় অ্যালকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দেবো। কারণ অ্যালকোহল কোনো উপকার করে না, বরং এ থেকে মুখে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।”— বলেন সিমোর।

সেটিলপিরিডিনিয়াম ক্লোরাইড বা সিপিসি আছে এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। এই উপাদান মুখের প্রোটিনের সঙ্গে মিলে একটি সুরক্ষা কবচ তৈরি করে যা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

মুখের মধ্যে পাঁচশরও বেশি ধরনের ব্যকটেরিয়া থাকে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল এজেন্টের প্রতি সংবেদনশীল। তাই সিপিসি এবং এসেনসিয়াল ওয়েলযুক্ত মাউথওয়াশ এক্ষেত্রে আদর্শ।

ছবি: রয়টার্স।