দশমীতে কক্সবাজার ও পতেঙ্গায়

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার দশমীর দিনে ভিন্ন রূপ পায় দেশের প্রধান দুটি সমুদ্র সৈকত।

মুস্তাফিজ মামুনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2015, 10:13 AM
Updated : 18 Oct 2015, 10:13 AM

দশমীর দিনে তাই বেড়াতে পারেন কক্সবাজার কিংবা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। এদিন দুটি সমুদ্র সৈকতে পুন্যার্থীদের ঢল নামে।

সৈকতজুড়ে পুন্যার্থী আর পর্যটকদের এ মিলনমেলা দেখতে হলে যেতে হবে দশমীর দিনে।

কক্সবাজার সৈকতে দুর্গোৎসব

বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় কক্সবাজার সৈকতে নামে পুন্যার্থীর ঢল। এদিন সন্ধ্যায় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে পুন্যার্থীদের সঙ্গে অংশ নেন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে হাজারও পর্যটক।

দশমীতে পতেঙ্গায়।

কক্সবাজার সৈকতে এদিন দুপুর থেকেই জেলার নানান মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন পুন্যার্থীরা। সঙ্গে যুক্ত হন দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক পর্যটক।

স্থানীয়রা মনে করেন এই সংখ্যা দুই লাখও ছাড়িয়ে যায়। ঢোল-বাদ্যের সঙ্গে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের পালা। ‘মা দুর্গার জয়’ স্লোগানে বিসর্জন চলতে থাকে সন্ধ্যা অবধি।

ঢাকা থেকে সড়ক ও আকাশপথে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া যায়। কক্সবাজার শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল আছে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দুর্গোৎসব

শারদীয় দুর্গোৎসবের দিন সন্ধ্যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও বসে হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলনমেলা। পুন্যার্থীরা এদিন সৈকতে সমবেত হন দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিতে।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ উৎসব দেখতে আসেন আরও অনেকে।

দশমীতে পতেঙ্গায়।

এদিন দুপুর থেকেই নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিমাবাহী ট্রাকের বর্ণিল শোভাযাত্রা শুরু হয়। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা। এরপর শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের পালা।

ঢাক, ঢোল, কাঁসা ঘণ্টাসহ নানা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ‘জয়, দুর্গা মায়ের জয়’ ধ্বনি তুলে একের পর এক প্রতিমা ভাসিয়ে দেন সাগরে।

ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশ পথে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম শহর থেকে পতেঙ্গায় যাওয়ার সহজ উপায় অটো রিকশা। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর থেকে পতেঙ্গায় যাওয়ার বাস সার্ভিসও আছে।

চট্টগ্রাম শহরের সব জায়গাগেই থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল আছে।

আলোকচিত্র: সুমন বাবু।