মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়াম

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ধূমপান পরিহার করার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর মানসিক চাপ কমতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2015, 07:56 AM
Updated : 13 Oct 2015, 03:05 PM

গবেষকদের একজন, সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ লোজান’য়ের ডেভিড নানচেন বলেন, “হার্ট অ্যাটাকের পর যেসব রোগী মানসিক চাপে ভুগছেন না তাদের তুলনায় যারা মানসিক চাপে ভুগছেন তাদের আরেকবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এমনকি মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকে দ্বিগুণ।”

এই গবেষণার জন্য অ্যাকিউট করোনারি সিনড্রোমস (এসিএস)য়ে আক্রান্ত ১ হাজার ১৬৪ জন রোগীকে নিয়ে পর্যালোচনা করেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এই রোগীদের তালিকাভুক্ত করা হয় এবং এক বছরব্যপি তাদের উপর নজর রাখা হয়। তালিকাভুক্তির সময় এবং এক বছর পর তাদের মানসিক চাপের মাত্রা পরিমাপ করা হয়।

হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী মানসিক চাপ কমানোর কয়েকটি উপায়ের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন গবেষকরা।

এদের মধ্যে ছিল রক্তে কোলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান বর্জন, মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যক্রম বাড়ানো, নিয়ম মেনে ওষুধ সেবন ইত্যাদি।

গবেষণায় দেখা যায়, এক বছরের মধ্যে তালিকভুক্ত রোগীর শতকরা ২৭ ভাগই হার্ট অ্যাটাকের ধারাবাহিক বা নতুন দুশ্চিন্তা গ্রাস করে। আর ১১ শতাংশ রোগীর দুশ্চিন্তা কমে।

মানসিক চাপগ্রস্ত নয় এমন রোগীদের তুলনায় মানসিক চাপগ্রস্ত রোগীরা কম বিবাহিত এবং তাদের ছিল অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ও অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস।

এক বছর সময়ের মধ্যে মানসিক চাপ কমানোর সবচাইতে কার্যকর উপায় ধূমপান বর্জন। ধূমপায়ীদের তুলনায় যারা ধূমপান বর্জন করেছেন তাদের মানসিক চাপ কমার সম্ভাবনা বেড়েছে ২.৩ শতাংশ।

গবেষণায় শুরুতে যেসব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত রোগী বেশি শরীরচর্চা করেছেন তাদেরও দুশ্চিন্তার পরিমাণ কমতে দেখা গেছে।

ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।