ফ্রাইড আইসক্রিম

ভাজাপোড়ার কথা শুনলেই মাথায় আসে মচমচে পিঁয়াজু, পুরির কথা। বা ফ্রাইড শব্দের পর মাথায় কাজ করে চিকেন, মানে ফ্রাইড চিকেন। তবে কখনও কি মনে হয়েছে আইসক্রিমও ভাজা হতে পারে!

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2015, 09:35 AM
Updated : 5 August 2015, 09:35 AM

হতে পারে না, হচ্ছে। আর এই আইসক্রিম ভাজা খেতে হলে যেতে হবে গুলশান ১ এর ডিপসিডো’সয়ে।

সেখানের চুলাতে নেই আগুন। বরং বড় সমতল একটা কড়াই, যেটার উপর সেকেন্ডে মাইনাস পঁয়ত্রিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দুধ, চকলেট এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই দুটি খুনতি দিয়ে ভেজে ভেজে আইসক্রিম তৈরি করা হয়। অনেকটা নুডুলস রান্নার মতো ব্যাপার।

আর এইভাবেই আইসক্রিম পার্লারে ক্রেতাদের সামনে তৈরি করা হয় ‘ভাজা’ আইসক্রিম।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে গুলশান ১ ডিসিসি মার্কেটের দিকে যেতে জারার শোরুমের উল্টোদিকের গলি দিয়ে ঢুকে কিছুদূর হাঁটলেই চোখে পড়বে ডিপসিডো’স। বসার ব্যবস্থা আছে ৩০ জনের, আছে ওয়াইফাই।

ডিপসিডো’সয়ের কর্ণধার সৈয়দ আজিজুর রহমানের কাছ থেকে জানা গেল, আইসক্রিম বানানোর এই পদ্ধতি থাইল্যান্ডের। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এইধরনের আইসক্রিম তারা নিয়ে এসেছেন। কর্মীদের আইসক্রিম বানানোর প্রশিক্ষণও দিয়েছেন তিনি নিজেই।

কীভাবে শিখলেন জানতে চাইলে সৈয়দ আজিজুর রহমান বলেন, “অনেক ঘুরে চীন থেকে মেশিন কিনি। এরপর শুরু করি ইউটিউব দেখে আইসক্রিম বানানো শেখা। তবে যত যাই করি না কেনো, আইসক্রিম তো হয়না। হতাশা দেখে আমার ছোট বোনও যোগ দিল এই সংগ্রামে। পরে তার দেওয়া রেসিপিতেই প্রথম খাওয়ার যোগ্য আইসক্রিম তৈরি করলাম।”

চলতি বছরের ৬ জুন যাত্রা শুরু করেছে ডিপসিডো’স। মিলছে মোট ১৩ স্বাদের আইসক্রিম। বেশি জনপ্রিয় ট্রিপল চকলেট ট্রিট, দাম ৩শ’ টাকা।

অন্যান্যগুলোর দাম ২শ’ টাকা। আইসক্রিম পরিবেশনের ধরনটাও ভিন্ন। প্লাস্টিকের একবার ব্যবহার যোগ্য কাপের মধ্যে রোল করে দেওয়া হয় আইসক্রিমগুলো। তবে সরবেট আইসক্রিম দেওয়া হয় স্কুপ আকারে।

</div>  </p><p>সরবেট তৈরি হয় ফল দিয়ে। আর বাকিগুলো তৈরি করা হয় দুধ কিংবা চকলেট দুধ থেকে।</p><p>আইসক্রিমের গুণগত মান সম্পর্কে সৈয়দ আজিজুর রহমানের দাবি, “বাংলাদেশের একমাত্র ‘অর্গানিক’ আইসক্রিম মিলবে এখানে। কারণ আমরা কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করি না। প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ প্রক্রিয়াজাত করা হয় আমার বাসাতেই। আর দুধ আনা হয় আমার বন্ধুর নিজস্ব খামার থেকে।”</p><p>উত্তরাতে আরেকটি শাখা খোলার পরিকল্পনার কথা জানালেন আজিজুর রহমান।</p><p><em><strong>ছবি ও ভিডিও: আব্দুল মান্নান দীপ্ত।</strong></em></p>