হতে পারে না, হচ্ছে। আর এই আইসক্রিম ভাজা খেতে হলে যেতে হবে গুলশান ১ এর ডিপসিডো’সয়ে।
সেখানের চুলাতে নেই আগুন। বরং বড় সমতল একটা কড়াই, যেটার উপর সেকেন্ডে মাইনাস পঁয়ত্রিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দুধ, চকলেট এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই দুটি খুনতি দিয়ে ভেজে ভেজে আইসক্রিম তৈরি করা হয়। অনেকটা নুডুলস রান্নার মতো ব্যাপার।
আর এইভাবেই আইসক্রিম পার্লারে ক্রেতাদের সামনে তৈরি করা হয় ‘ভাজা’ আইসক্রিম।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে গুলশান ১ ডিসিসি মার্কেটের দিকে যেতে জারার শোরুমের উল্টোদিকের গলি দিয়ে ঢুকে কিছুদূর হাঁটলেই চোখে পড়বে ডিপসিডো’স। বসার ব্যবস্থা আছে ৩০ জনের, আছে ওয়াইফাই।
কীভাবে শিখলেন জানতে চাইলে সৈয়দ আজিজুর রহমান বলেন, “অনেক ঘুরে চীন থেকে মেশিন কিনি। এরপর শুরু করি ইউটিউব দেখে আইসক্রিম বানানো শেখা। তবে যত যাই করি না কেনো, আইসক্রিম তো হয়না। হতাশা দেখে আমার ছোট বোনও যোগ দিল এই সংগ্রামে। পরে তার দেওয়া রেসিপিতেই প্রথম খাওয়ার যোগ্য আইসক্রিম তৈরি করলাম।”
চলতি বছরের ৬ জুন যাত্রা শুরু করেছে ডিপসিডো’স। মিলছে মোট ১৩ স্বাদের আইসক্রিম। বেশি জনপ্রিয় ট্রিপল চকলেট ট্রিট, দাম ৩শ’ টাকা।
অন্যান্যগুলোর দাম ২শ’ টাকা। আইসক্রিম পরিবেশনের ধরনটাও ভিন্ন। প্লাস্টিকের একবার ব্যবহার যোগ্য কাপের মধ্যে রোল করে দেওয়া হয় আইসক্রিমগুলো। তবে সরবেট আইসক্রিম দেওয়া হয় স্কুপ আকারে।