হারানো সাপের খোঁজে

ছোট হোক আর বড় হোক-- সাপকে দেখলে ভয় পায় না এমন কেউ আছে? টেলিভিশনে সাপের ছবিগুলো দেখলে তো ভয়ে সবার গায়ের লোমই খাড়া হয়ে যায়।

>> সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2014, 11:58 AM
Updated : 8 July 2014, 11:58 AM

কিন্তু ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের ড্যানিয়েল মুলকাহেকে দেখো! সাপকে দেখে ভয় তো দূরের কথা; বরং আনন্দে একটা ছোটখাটো লাফই দিয়ে ফেলেছে এই গবেষক। কী ভাবছ? লোকটা পাগল?

কিন্তু না। ড্যানিয়েল পাগল নয়। ৮০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একটা সাপকে খুঁজে পেলে শুধু ড্যানিয়েল কেন, তুমিও খুশিতে লাফ দিয়ে উঠবে। কী, বানিয়ে বলছি? একদম না।

গবেষকদের হিসেব অনুযায়ী ৮০ বছর আগেই পৃথিবী থেকে যে সাপ হারিয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল এতদিন, এবার সেই ক্ল্যারিয়ন নাইট স্নেককেই মেক্সিকোতে খুঁজে বের করেছে ড্যানিয়েল।

বিলুপ্তপ্রায় এই সাপের প্রজাতিটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে মেক্সিকোর ক্ল্যারিওনের প্রশান্ত মহাসাগরে। জানা গেছে, মেক্সিকান ইন্সটিটিউটের হয়ে ক্ল্যারিওন দ্বীপে কাজ করতে গিয়েই ড্যানিয়েল ক্ল্যারিওন নাইটস্নেকের মতন দেখতে ১১টি সাপ খুঁজে পায় এবং পরে ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় যে ওগুলো সত্যিই নাইটস্নেক।

১৯৩৬ সালে প্রকৃতিবিদ উইলিয়াম বেবে প্রথম এই প্রজাতির সাপকে আবিষ্কার করেন।

“বর্তমানে আমাদের আবাস্থল পৃথিবীর জীবজগৎ নিয়ে থাকা রহস্যগুলোর সমাধানের জন্য ঐতিহাসিক তথ্য এবং জাদুঘরের সংগ্রহের উপর বৈজ্ঞানিকদের কতটা নির্ভরশীল থাকতে হয়, সেটা এই নাইটস্নেকের পুনরাবিষ্কার থেকেই বোঝা যায়।”-- ড্যানিয়েল বলেন।

এদের রক্ষা করার ব্যাপারে এই গবেষক বলেন-- এদের রক্ষা বেশিরভাগটাই নির্ভর করছে এদের সঠিক সংরক্ষণের উপর। এবং ক্ল্যারিওন দ্বীপের প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় এই নাইটস্নেক ঠিক কতটা প্রভাব রাখছে জানতে হলে এদের উপর আরও বেশি নজর রাখতে হবে।