সত্যি সত্যি অবশ্য তেমনটি নয়। চাঁদে বায়ুমণ্ডল আছে। তবে সে বায়ুমণ্ডল এতটাই হালকা, সেটাকে না থাকাও বলা যায়। পৃথিবীর তুলনায় সেটাকে শূন্য স্থানও বলা যেতে পারে, মানে ভ্যাকুয়াম আর কি।
চাঁদের এই বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় কী পরিমাণ হালকা, একটা তথ্য দিলেই তা বুঝতে পারবে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একদম শেষ প্রান্তে, যেখানে বায়ুমণ্ডল একদম নেই বললেই চলে, সেখানে পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহগুলো পাক খায়। চাঁদের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একদম সেই বাইরের অংশের মতোই।
সব মিলিয়ে চাঁদের বাতাসের মূল উপাদান বলা যায় আর্গন আর হিলিয়ামকে। চাঁদের বাতাসে প্রতি কিউবিক সেন্টিমিটারে অণু থাকে প্রায় ৮০ হাজার। আর্গনের অণু থাকে ৪০ হাজারের মতো, হিলিয়াম থাকে ২ হাজার থেকে ৪০ হাজারের মতো। সোডিয়াম আর পটাশিয়াম থাকে খুবই অল্প পরিমাণে, যথাক্রমে গড়ে ৭০টা আর ১৭টা। হাইড্রোজেনের অণু থাকে আরও কম। অন্যগুলোর কথা না হয় বাদই থাক।