সিনেমাটি শুরু হয় পু নামের খুব মোটা, অলস, স্বপ্নে বাস করা একটি পান্ডাকে নিয়ে। পু এতই অলস যে তার নিজের বিছানা ছেড়ে উঠতেই কষ্ট হয়। পুয়ের বাবার একটি রেস্তোরাঁ আছে, যার নুডলসের খুব বিখ্যাত। পু তার বাবার সেই রেস্তোরাঁতে কাজ করে। গল্পের এই পর্যায়ে তোমাদের একটা খটকা লাগবে। কারণ পু এর বাবা মি. পিং হলো একটি হাঁস। মোটু পান্ডার বাবা কি করে একটি সরু হাঁস হয় সে রহস্য তোমাকে বেশ ভাবাবে। তা সে যাই হোক। পু আসলে দেখতেও তার বাবার মতো নয় কাজও তার বাবার মতো নয়। তবে তাদের একটা বিষয়ে খুব মিল আছে। ওরা দুইজনই একে অপরকে ভীষণ ভালোবাসে।
পু যেই গ্রামে থাকে সেখানে আছে একটি শান্তিময় উপত্যকা। একটি প্রাচীন মন্দিরকে ঘিরে সেই উপত্যকা। সেই মন্দিরে পৌঁছুতে হলে পার হতে হয় অসংখ্য সিঁড়ি। মন্দিরটি আসলে কুংফু শিক্ষার বিদ্যাপীঠ। প্রচীনকাল থেকে সেখানে কুংফুর চর্চা হয়। এই কুংফুর মাস্টারটাই উপত্যকার শান্তি বজায় থাকে। সেই মন্দিরকে নিয়ে আছে নানান গল্প এবং ঘটনা। যেমন সেখানে তাইলাং নামের একজন শিক্ষার্থী ছিলো। সবাই বলতো তাইলাং অনেক বড় মাস্টার হবে। এমনকি সর্বোচ্চ খেতাব ড্রাগন ওয়ারিয়র পেয়ে যতে পারে। তবে তাইলাং-এর মধ্যে অশুভ শক্তির বিকাশও ঘটে। সে অন্যের অনিষ্ট করা শুরু করে তাই ওকে বন্দি করা হয়। তাইলাং এর পরেকে হবে ড্রাগন ওয়ারিয়র এটি নিয়ে বেশ গুঞ্জন রটে যায়। ধারণা করা হচ্ছে এখনকার সবচেয়ে যোগ্য পাঁচজন ওয়ারিয়র যাদের সবাই ফিউরিয়াস ফাইভ নামে চিনে তাদের কোনো একজন হবে। পু আবার এই পাঁচজনের বিশাল ফ্যান।
পু এর পছন্দের কুংফু প্রতিযোগীরা আছে আর পু দেখতে পাবে না। তা তো হয় না। পু নানা রকমভাবে চেষ্টা করতে থাকে ভিতরে যাবার, কিন্তু শেষমেষ সে গিয়ে পড়ে একদম প্রতিযোগিতার মাঝখানে। এবং মন্দিরের গুরু প্রাচীন কচ্ছপ পুকেই নির্বাচন করে বসেন ড্রাগন ওয়ারিয়র হিসেবে।
ড্রিম ওয়ার্কস এর এই সিনেমাটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জ্যাক ব্ল্যাক, জ্যাকি চ্যান, এঞ্জেলিনা জোলি র মতো বিখ্যাত অভিনেতারা। একজন সাধারণ মানুষ থেকে নিজের ভিতরের গুণকে চিনে কীভাবে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায় তা খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে সিনেমাটিতে। এছাড়াও সৎপথ এবং শান্ত মন সাফল্যের জন্য কতোটা জরুরী তাও দেখানো হয়েছে খুব সুন্দর করে। এসবের সঙ্গে রয়েছে কিছু অসাধারণ একশন দৃশ্য। হাস্যরসের ও কমতি নেই। তাই সময় করে দেখে নিতে পারো কুংফু পান্ডা সিনেমাটি।