যেভাবে বানাবো—
গ্যালারির ছবির ক্রম অনুযায়ী ধাপে ধাপে আগাতে হবে।
১। বর্গাকৃতির কাগজটির কর্ণ বরাবর একটি ভাঁজ দেই। কাগজটি এভাবে সমান দুই ভাগে বিভক্ত হবে।
২। এবার কর্ণের যে কোনো শীর্ষবিন্দু থেকে একটি বাহুকে নিয়ে কাগজের মাঝে ভাজ দিয়ে কর্ণ বরাবর নিয়ে আসি। বিষয়টি শুনতে বেশ জটিল কিন্তু ছবি দেখলে খুব সহজেই বোঝা যাবে। একই ভাবে অপর দিকের বাহুকেও কর্ণ বরাবর আনতে হবে।
৩। কাঠামোটির নিচের অংশে যে অব্যবহৃত ত্রিভুজ আকৃতির কাগজটুকু আছে সেটিকে ভাজ করে সামনের দিকে নিয়ে আসো।
৪। এখন আবার এই ত্রিভুজটির কাগজ থেকে ভূমির একটু উপরে আরেকটা ভাজ দিয়ে ছোট একটা ত্রিভুজ পিছনে ফেরত নিতে হবে।
৫। এবার কাঠামোটির মাঝ বরাবর ভাঁজ দিয়ে এটিকে বন্ধ করে দিতে হবে।
৬। দেখো কেমন লেজওয়ালা একটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ তৈরি হয়েছে। এই ত্রিভুজের শীর্ষটি লম্বালম্বি ভাবে অর্ধেক করে কেটে ফেলো।
৭। এবার কেটে ফেলা শীর্ষটি দুইদিকে ভাজ করে উপরে তুলে, চোখ মুখ এঁকে দিলেই হয়ে গেলো তোমার খরগোশ।
তোমরা যে খরগোশ বানালে এটি খুবই প্রাথমিক অরিগ্যামি। যদি তোমরা প্রতিনিয়ত নানান ধরণের অরিগ্যামি চর্চা করতে থাকো তাহলে এক সময় তোমরা এমন অরিগ্যমাই খরগোশ বানাতে পারবে যেটি সত্যিকারি খরগোশের মতো দেখতে হবে।