জে লোর কারণেই অ্যাফ্লেক-গার্নারের বিচ্ছেদ?

দশ বছর সংসার করার পর সম্প্রতি বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন অভিনয়শিল্পী দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক এবং জেনিফার গানর্ার। এদিকে, তাদের সংসারে ভাঙনের জন্য অনেকেই দুষছেন পপ তারকা জেনিফার লোপেজের সঙ্গে অ্যাফ্লেকের ঘনিষ্টতাকে।

গ্লিটজ ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2015, 12:45 PM
Updated : 2 July 2015, 12:47 PM

বেন অ্যাফ্লেক এবং জেনিফার গার্নার তাদের দশম বিবাহ বার্ষিকীর পর দিনই বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এই দম্পতির বন্ধুরা জানাচ্ছেন বেনের সাবেক বাগদত্তা জেনিফার লোপেজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা তাদের সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এক ব্রিটেন ভিত্তিক ট্যাবলয়েড এক বন্ধুর বরাত দিয়ে বলেছে, “সবাই জেলো এবং বেনকে নিয়ে কথা বলছে এবং সবার ধারণা তাদের দুজনের আবার একত্রিত হওয়াটা অবশ্যম্ভাবী। আমরা তাদেরকে হলিউডের লিজ টেইলর এবং রিচার্ড বার্টন বলে ডাকি।”

“অস্কারে তাদের দুজনকে বেশ মাখামাখি করতে দেখা গেছে এবং ইমেইলের মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। জেনিফার গার্নার কখনও এটা পছন্দ করেননি।”

২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত জেনিফার লোপেজের সঙ্গে প্রেম ছিল বেন অ্যাফ্লেকের। এই সময়ের মধ্যে তারা আংটি বদলও করেছিলেন। আলোচিত এই জুটির সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরপরই বেনের জীবনে আসেন গার্নার। ২০০৫ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা।

অ্যাফ্লেক-গার্নার জুটির বিচ্ছেদের পেছনে আরও একটি কারণ উল্লেখ করেন তাদের ওই বন্ধু। ২০০১ সালে ছেড়ে দেওয়ার পরও ‘গন গার্ল’ সিনেমায় নিজের চরিত্রের প্রস্তুতি হিসেবে আবারও মদ্যপান শুরু করেন অ্যাফ্লেক। আর মদে আসক্তির কারণেই এপ্রিলে স্ত্রীর জন্মদিন এবং মে মাসে মা দিবসে পরিবারকে সময় দিতে পারেননি তিনি। ভায়োলেট, সেরেফিনা এবং স্যামুয়েল নামের তিন সন্তান রয়েছে এই দম্পতির।

তাদের ওই বন্ধুর মতে এসব কারণে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটারই ছিল।

“অনেকদিন ধরেই এটা হওয়ার কথা ছিল। এটা অকল্পনীয় যে, জেন এতোদিন ধরে চেষ্টা করে গেছে।”

“সে আসলেই চেষ্টা করেছে, কিন্তু সম্প্রতিক সময়ে বেন আবার তার আগের অবস্থায় ফেরত গেছে। ‘গন গার্ল’-এর শুটিং-এর সময় সে মদ্যপান করছিল এবং প্রচুর পরিমাণে জুয়াও খেলছিল।”