হোম
+
২০০২ সালে মুম্বাইয়ে ফুটপাতে উঠিয়ে দেওয়ার আগে মাতাল অবস্থায় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন খোদ সালমান খান - প্রথম এ কথা জানান সালমানেরই দেহরক্ষী রাভিন্দ্র পাতিল। যদিও মামলার রায় দেখার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় তাকে।
Published : 10 May 2015, 02:51 PM
গাড়ি চাপা মামলার বিচার শুরু হবার পর সালমানের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্য দিয়েছিলেন রাভিন্দ্র। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাবেক এই পুলিশ কনস্টেবলের সাক্ষ্য সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সালমানের রায়ের পর রাভিন্দ্রর মা সুশিলাবাই পাতিলের প্রতিক্রিয়া ছিল, 'আজ আমার ছেলের আত্মা সত্যিকার অর্থে শান্তি পেল।'
দীর্ঘদিন যক্ষ্মায় ভোগার পর ২০০৭ সালে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে মামলার প্রক্রিয়া অনেকটাই শ্লথ হয়ে যায়। রাভিন্দ্রর মায়ের দাবী, ঐ মামলাই ধীরে ধীরে তার ছেলেকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়।
সম্প্রতি ভারতীয় দৈনিক মিড-ডের সঙ্গে মৃত ভাইয়ের ব্যাপারে কথা বলেন রাভিন্দ্রর বড়ভাই ভিরেন্দ্র। তিনি বলেন, "যদিও আমার ভাই যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, কিন্তু সালমানের মামলার বিচার শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সুস্থই ছিলেন তিনি।"
৪৬ বছর বয়সী ভিরেন্দ্র নিজেও একজন পুলিশ কনস্টেবল । জানালেন, সালমানের মামলার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তাদের পুরো পরিবারের জীবনই পাল্টে গেছে। তখন থেকেই রাভিন্দ্র মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন এবং তার শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে থাকে।
ভিরেন্দ্র ছাড়াও মুম্বাই পুলিশ বাহিনীতে কাজ করেন রাভিন্দ্রর আরেক ভাই কৈলাস পাতিল। সালমানের রায়ের দিন তাকে আদালতে কর্তব্যপালন করতে দেওয়া হয়নি।
২০০২ সালের সেপ্টেম্বরের এক রাতে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকার ফুটপাতে নিজের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারটি উঠিয়ে দেন সালমান। এ ঘটনায় ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা ছিন্নমূল মানুষদের মধ্যে একজন মারা যান এবং চারজন আহত হন।
সেদিন সালমানের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন রাভিন্দ্র। সালমানের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্য দেন তিনি। চলতি বছরের ৬ মে ১৩ বছর ধরে চলতে থাকা মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
