নিজের অভিনয়গুণে আজ ভারতীয় চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিয়েছেন নাওয়াজ। সুজয় ঘোষের সিনেমা 'কাহানি'র মাধ্যমে দর্শকের নজরে পড়লেও, তার সংগ্রামের কাহিনি প্রায় দুিই দশকের। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজারের কাছে নাওয়াজকে নিয়ে কথা বলেন, তার 'কাহানি' সহশিল্পি পরমব্রত চট্যোপাধ্যায়।
“কাহানির শ্যুটিং করতে করতে বহু দিন ভেবেছি এ রকম বেঁটে একটা লোক কী ভাবে এত ইনটেনসিটি আনে নিজের মধ্যে! একটা বেঁটে লোকের এত তেজ হয় কী করে? কিছুতেই উত্তর পেতাম না। আজ ওর বিষয়ে লিখতে বসে অনেক কিছুই মনে পড়ছে। অনেকেই হয়তো জানেন না, ওর ‘স্ট্রাগলিং পিরিয়ড’-টা অনেক দিনের। প্রায় ১৮ বছর সাঙ্ঘাতিক অভাব-অনটনের মধ্যে কাটিয়ে তবে ও ব্রেক পেয়েছে। আজও যখন অনেকেই ‘কাহানি’র ইনটেনসিটি বা অন্য ফিল্মে ওর অভিনয়ের তেজের কথা বলে, আমার মনে হয় সেটা আসে ওর ওই দীর্ঘদিনের বঞ্চনা থেকে। এনএসডি-র কোনও কোচিং ক্লাস থেকে নয়।
সেই রাগ, সেই ফ্রাস্ট্রেশনটাই বেরোয় ওর অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে।”
পরম আরও এক দিনের গল্প বলেন। শুটিংয়ের ফাঁকে মেকআপ ভ্যানে বসেছিলেন তারা। স্পটবয়কে এক কাপ চা দিতে বলেন নাওয়াজ। একটু দেরি হয়ে যাওয়ায় ভীষণ রেগে বলেছিলেন, “কতক্ষণ ধরে একটু চা চাচ্ছি, সময়মতো দিতে কি এমন ক্ষতি হয়!” পরে আবার স্পটবয়দের কাছে নিজেই ক্ষমা চেয়েছিলেন আর পরমকে বলেছিলেন, দীর্ঘদিন জুনিয়র শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেনে। খাবার-চা কখনোই সময়মতো পাননি, সেই হতাশা এখনও রয়ে গেছে।
'পিপলি লাইভ'-এর জুনিয়র শিল্পী থেকে আজ তিনি সালমান খানের 'কিক' সিনেমার খলনায়ক। স্বাধীন চলচ্চিত্রকারদের এক নম্বর পছন্দ তিনি। ‘বাদলাপুর’ খ্যাত নাওয়াজকে আজ সবাই চেনেন। আর অভিনয়ের এই তেজ তিনি অর্জন করেছেন তার হতাশা থেকে।