তার সঙ্গে সিনেমায় আরও থাকছেন সায়মন ও শতাব্দী ওয়াদুদ। সায়মন ও অহনা প্রথমবারের মতো এ চলচ্চিত্রে জুটি বাঁধছেন। ‘গেরিলা’র পর আবারও খলচরিত্রে দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদকে।
অহনা বলছেন, “সিনেমাটির গল্প আমার কাছে দারুণ লেগেছে। চরিত্রটিও বেশ লোভনীয় মনে হল। এতে আমার অভিনয় দেখানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত পাল্টেছি।”
তাহলে কি চলচ্চিত্রে আবারও নিয়মিত হচ্ছেন? গ্লিটজের এমন প্রশ্নে অহনার উত্তর, “এখন এ সিনেমাটি নিয়েই ভাবছি। সময় বলে দেবে সব।”
সায়মন বলছেন, “আমার কাছে অন্যরকম এক প্রেমের গল্প মনে হয়েছে ‘চোখের দেখা’র গল্পটি। অহনা সম্পর্কে খুব বেশি জানি না আমি। শতাব্দী ওয়াদুদ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা। আমরা সবাই দর্শকদের দারুণ একটি সিনেমা উপহার দিতে যাচ্ছি, এটুকু বলতে পারি।”
পি এ কাজল পরিচালিত এই সিনেমাতে প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল নবাগত অভিনেত্রী অধরার। বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং সম্পন্ন করার পর পরিচালক অনুধাবন করেন, অধরা ‘রোজ’ চরিত্রের জন্য উপযুক্ত নন। তখন তিনি অহনাকে এই চরিত্রের জন্য মনোনীত করেন।
সিনেমার কাহিনিতে দেখা যাবে, রোজ মধ্যবিত্ত পরিবারের এক মেধাবী মেয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি দারুণ নাচিয়ে সে। উদীয়মান ক্রিকেটার সাদমানের স্বপ্ন প্রতিভার গুণে জাতীয় দলে ঠাঁই করে নেওয়া। অন্যদিকে ক্ষমতালিপ্সু লিডারের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয় রোজ ও সাদমানের পরিবার। এরপর এক দুর্ঘটনায় দৃষ্টিশক্তি হারায় রোজ। এরপরই কাহিনি অন্যদিকে মোড় নেয়।
ইবরার টিপু এবং তাপস কৌশিকের সংগীতায়োজনে সিনেমার গানগুলো গেয়েছেন জেমস, কনকচাঁপা, কণা, পড়শি ও আরিফ।
পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন পি এ কাজল। সিনেমাটি প্রযোজনা ও পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছে কুশলী মাল্টিমিডিয়া।