‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ ১০০০ সপ্তাহ

শাহরুখ খান ও কাজল অভিনীত ১৯৯৫ সালের সিনেমা ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ পূর্ণ করলো প্রদর্শনের ১০০০ সপ্তাহ। শুক্রবার সিনেমাটির কলাকুশলী এবং নির্মাতা আদিত্য চোপড়া একসঙ্গে উদযাপন করলেন এই সাফল্য।

সেঁজুতি শোণিমা নদীআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2014, 10:20 AM
Updated : 13 Dec 2014, 10:20 AM

১৯৯৫ সালের ২০শে অক্টোবর মুক্তি পায় শাহরুখ খান ও কাজল অভিনীত সিনেমাটি। এরপর থেকে মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দির সিনেমাহলে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টার শোতে এই সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে। ১০টি ফিল্মফেয়ার ও ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতা সিনেমাটি ডিসেম্বরের ১২ তারিখে বক্স-অফিসে ১০০০তম সপ্তাহ পূর্ণ করবে। 

“সিনেমাটির বয়স ২০ বছর হয়ে গেছে, এবং আমি গর্বিত এই সিনেমার অংশ হতে পেরে। ভারতীয় সিনেমার ১০০ বছর পার হয়ে গেছে। আমি বলবো, এর এক পঞ্চমাংশ জুড়েই রয়েছে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’”- কাজলের সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন শাহরুখ।

কাজল বলেন, “এই সিনেমার পেছনে পামেলা আন্টির (পামেলা চোপড়া, আদিত্য চোপড়ার মা)  অনেক বড় অবদান রয়েছে। কারণ তিনিই তো আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি করেছেন।”

কাজল আরও জানান, শুরুতে সিনেমাটির নাম মোটেও পছন্দ হয়নি তার। নিজের করা ‘সিমরান’ চরিত্রটি নিয়েও যথেষ্ঠ সংশয় ছিল তার।

“শুরুতে আমার মনে হয়েছিল সিনেমার নাম হিসেবে এটা খুবই ফালতু। নামেই যদি সিনেমার পুরো গল্প কেউ বলে দেয়, তাহলে সেটার আর কী অর্থ থাকে? আর কী লম্বা একটা নাম! এখন অবশ্য আর কোনো অভিযোগ নেই আমার নামটি নিয়ে।”

“তাছাড়া, আদি যখন সিনেমায় আমার চরিত্র ‘সিমরান’ আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিল, তখনও খুব বিরক্ত হয়েছিলাম আমি। আদিকে আমি বলেছিলাম, সিমরান অনেক ভালো, অনেক সরল। আমি মোটেই সিমরানের মতো নই। আদিত্য তাই সিনেমার পুরোটা জুড়েই আমার সঙ্গে ছিল। প্রতিটা দৃশ্য সে আগে থেকে আমাকে বুঝিয়ে দিতো।”

শাহরুখ খান বলেন, “সিনেমাটির উপর আদিত্যর সম্পূর্ণ আস্থা ছিল। সিনেমাটি তাই আমাদের সবার আবেগ নিয়ে। অভিনয় কিংবা নির্মাণশৈলীর উর্ধ্বে উঠে এই সিনেমা আসলে এখন গোটা বিশ্বেরই।”

এদিন মোড়ক উন্মোচন করা হয় আদিত্য চোপড়াকে নিয়ে নাসরিন মুন্নি কবিরের লেখা বই ‘আদিত্য চোপড়া রিলিভস দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’র।

বইটি নিয়ে শাহরুখ বলেন, “আদিত্য গণমাধ্যমের সামনে আসার ব্যাপারে বরাবরই অনেক লাজুক। এই বইয়ের মাধ্যমেই কেবল ওর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন আপনারা।”