এবার তাই নিজেই নিজেকে নিয়ে হাসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভাটকন্যা। ‘আলিয়া ভাট- জিনিয়াস অফ দ্য ইয়ার’- নামের এক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাকে। বাবা মহেশ ভাট, মা সোনি রাজদান, বোন শাহিন, কারান জোহার, অর্জুন কাপুর আর পারিনিতি চোপড়াও অংশ নিয়েছেন এই শর্ট ফিল্মে।
অনলাইনভিত্তিক কমেডিয়ানদের একটি দল এআইবি-এর নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে এই শর্টফিল্ম। এআইবির একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে; সেখানেই তারা চলতি ঘটনাবলির উপর নানা ধরনের বিদ্রুপাত্মক শর্টফিল্ম প্রচার করে থাকে। আলিয়া ভাটের শর্ট ফিল্মটিতে দেখা যায় ‘কফি উইথ কারান’-এর পর্বটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকে ফেইসবুক আর টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে আলিয়াকে নিয়ে নানা কৌতুক ও মেম। পরিবার এবং সমাজের উপহাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আলিয়া ভর্তি হয়েছেন একটি ‘মেন্টাল জিম’-এ। যেখানে ‘উপযুক্ত প্রশিক্ষণের’ মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠবেন ‘শাবানা আজমির মতো বুদ্ধিমতি’।
১০ মিনিট ৫ সেকেন্ডের এই শর্টফিল্মে জনসম্মুখে বোকামির যে কঠিন দণ্ড দিতে হয় তা যেমন তুলে ধরা হয়েছে তেমনি বুদ্ধিমত্তা যে অনেক সময়ই লোকদেখানো বিষয় হয়ে পড়ে তাও তুলে ধরা হয়েছে। আবার হিন্দি সিনেজগতে নায়িকাদের যে গ্ল্যামারসর্বস্ব করে রাখা হয় সেটাও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শর্টফিল্মের শেষে দেখা যায়, কঠিন পরিশ্রম করে অবশেষে ‘বুদ্ধিমতি’ হয়ে যান আলিয়া। ‘কফি উইথ কারান’-এ এসে কঠিন কঠিন সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। সেই আলিয়াকেই সবশেষে বলতে শোনা যায়- “জানেন, এখন আমি আবার আমার হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছি! আমার মনে হচ্ছে, আমি এখন যা ইচ্ছা, তাই করতে পারবো। আমি এখন চাইলে ডাক্তার, মহাকাশচারী এমনকী ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীও হতে পারবো!”