হিন্দি সিনেমার অভিনেতা সালমান খানের বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দেওয়ার মামলায় নতুন আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। এদের মধ্যে একজনের দাবি সালমানকে মাতাল অবস্থায় দেখেননি তিনি।
Published : 24 Jun 2014, 02:52 PM
নতুন দুজন সাক্ষীর একজনের নাম রিজওয়ান, যিনি সে সময় ‘রেইন বার’-এর ম্যানেজার ছিলেন। দুর্ঘটনার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন সালমান।
রিজওয়ান জানান, সেদিন রাতে খাবার এবং পানীয় অর্ডার করেছিলেন সালমান এবং তার বন্ধুরা। তবে সালমান মদ্যপান করেছেন কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন তিনি। কারণ অর্ডারটি নিয়েছিল একজন বেয়ারা।
এরপর রাত প্রায় দেড়টার দিকে সালমান তার বন্ধুদের নিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাদের বিদায় জানাতে গিয়েছিলেন রিজওয়ান। তখন সালমানের শরীর থেকে মদের কোনো গন্ধ পাননি তিনি, এমনকি তার হাঁটাচলাও মাতালের মতো ছিল না।
সালমানের আইনজীবী শ্রীকান্ত শিভাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি আরও জানান, সালমান মদ খেয়েছিলেন কি না তা দেখা সম্ভব হয়নি। কারণ তিনি ছিলেন তার কেবিনের ভেতরে আর বারের ভেতর আলো ছিল অনেক কম।
আরেকজন সাক্ষী হলেন রামাশ্রে পান্ডে। মুম্বাইয়ের ব্যান্ড্রা এলাকার একটি দোকানের মালিক তিনি, যার খুব কাছেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা।
রামাশ্রে জানান, সেদিন সালমানকে গাড়ির চালকের আসন থেকে নেমে বেরিয়ে আসতে দেখেছিলেন তিনি। সালমানের দেহরক্ষী রবীন্দ্র পাটিল (যিনি মারা গেছেন) আরও আগে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
সে রাতের দুর্ঘটনায় একজন মারা যান। এছাড়া আহত হয়েছিল চারজন।
রামাশ্রে আরও জানান, গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় সেই এলাকায়। সবাই ‘অ্যাকসিডেন্ট! অ্যাকসিডেন্ট!’ বলে চিৎকার করতে থাকে।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, গাড়িটি একটি বন্ধ লন্ড্রির শাটারে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল। এক পর্যায়ে কয়েকজন লোক মিলে সেই শাটার থেকে গাড়ির ভেঙে যাওয়া সামনের দরজাটি খুলে আনে।
১২ বছর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে। সালমানের বিরুদ্ধে প্রথমে ‘দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু’র অভিযোগ দায়ের করা হয়।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এই মামলাটির পুনর্বিচার শুরু হয়েছে ‘দণ্ডনীয় মৃত্যু’র অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে এই অভিনেতার।