গাড়ি চাপা দেওয়ার মামলায় নতুন করে শুরু হয়েছে সালমান খানের বিচার।
Published : 29 Apr 2014, 01:29 PM
সোমবার মুম্বাইয়ের সেশন কোর্টে আলোচিত মামলার ‘পুনর্বিচার’-এ সাক্ষীদের আংশিক জবানবন্দি শোনা হয়।
এর আগে 'অবহেলাজনিত মৃত্যু’-র অভিযোগে বলিউড মেগাস্টারের বিচার চললেও, দণ্ডনীয় নরহত্যার (কালপাবল হমিসাইড) অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সাক্ষীদের শোনা হয়নি বলে নতুন করে বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
একযুগ আগের সেই ঘটনায় নতুন সাক্ষ্য দিয়েছেন সাম্বা গৌড়া নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন।
গৌড়া বলেন, “দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়িটি ছিল অনেক বড়। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লন্ড্রির দোকানের দিকে এগিয়ে যায় এবং গাড়িটির বাম্পার দোকানের শাটারের সঙ্গে ধাক্কা খায়।”
ঘটনার সময় একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার চালাচ্ছিলেন সালমান খান।
গৌড়া আরও বলেন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগৃহিত কাচের ভাঙা টুকরো, গাড়ির নাম্বার প্লেট এবং বাম্পারের ভাঙা অংশ তিনি সনাক্ত করতে পেরেছেন।
গৌড়ে ছাড়াও আরও দুজন সাক্ষী ইতোমধ্যে ঐ জিনিসগুলো দেখে সনাক্ত করে গেছেন।
প্রসিকিউশন জানিয়েছেন, এই মামলায় সর্বমোট ৬৪ জন সাক্ষী রয়েছে তবে শুধুমাত্র কয়েকজনের সাক্ষ্য পুনর্বিচারের সময় নেয়া হবে।
মামলার পরবর্তী শুনানি ২ মে। সেদিন সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত থাকবেন সালমানের গাড়ির মাধ্যমে হওয়া দুর্ঘটনায় আহত প্রথম ব্যক্তি।
২০০২ এর ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকার একটি ফুটপাতে ঘুমন্ত ছিন্নমূল মানুষের উপর গাড়ি তুলে দেন সালমান খান। এ ঘটনায় একজন মারা যান এবং চারজন আহত হন।
সালমানের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ আনা হয়েছিল, মদ্যপান করে গাড়ি চালানোয় তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায় ও প্রাণহানী ঘটায়। এ রকম ঘটনায় দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধি রয়েছে।
তবে নতুন এই বিচারে আদালতের বিচার্য হচ্ছে ঐ ঘটনা দণ্ডনীয় নরহত্যা কি না, যেটি অবহেলায় মৃত্যুর চেয়ে গুরুতর অভিযোগ-- প্রমাণিত হলে শাস্তি ১০ বছরের জেল।