নিজের জন্মস্থান কলকাতা ছেড়ে যুবক বয়সে এসেছিলেন এই দেশে। তারপর এফডিসিতেই কেটেছে তার বর্ণাঢ্য কর্মময়জীবন। শেষবারের মতো সেই এফডিসিতে গেলেন নায়করাজ রাজ্জাক। শোকতপ্ত চলচ্চিত্রাঙ্গন অশ্রুসজল চোখে বিদায় জানালেন দেশীয় চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তিকে।
২২ অগাস্ট সকাল থেকেই এফডিসি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে চলচ্চিত্রকর্মীদের উপস্থিতিতে। সকাল ১১টায় নায়করাজের মরদেহ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘর থেকে এফডিসিতে নেয়া হয়। বাবার মরদেহ এফডিসিতে নিয়ে যান দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট।
নায়করাজের নিথর দেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন সহকর্মীরা। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে শেষ সম্মান জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা। এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্জাকের মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্র অভিভাবক হারাল। তার কর্মময় জীবন নতুনদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
এফডিসিতে নায়করাজের প্রথম জানাজাটি অনুষ্ঠিত হয় দুপুর পৌনে ১২টায়। এতে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষের সঙ্গে অংশ নেন মিশা সওদাগর, শাকিব খান, ওমর সানি, ফেরদৌস, আমিন খানসহ পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির কর্তাব্যক্তিরা।
এফডিসিতে জানাজা শেষে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাজ্জাকের মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
নায়করাজ পুত্র সম্রাট জানান, শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার পিতার মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে। তিনি সকলের কাছে নায়করাজের বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
রাজ্জাকের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে।