কাশ্মিরের উরিতে ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে পাকিস্তানি জঙ্গী হামলার ঘটনায় যখন বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি, তখন তার আঁচ এসে লেগেছে দুই দেশের বিনোদন জগতেও। কিছুদিন আগেই সাত পাকিস্তানি তারকাকে ভারত ছাড়ার হুমকি দেয় ভারতীয় এক উগ্রবাদী সংগঠন। এরমধ্যে পাকিস্তান থেকে ঘোষনা এসেছে বলিউডি সিনেমা বর্জনের।
তবে ভারতীয় তারকা, সালমান খান, যিনি পাকিস্তানেও অত্যন্ত জনপ্রিয়, তিনি মনে করছেন তারকাদের এভাবে হয়রানি করা উচিৎ নয়। কারণ, তারকারা সন্ত্রাসী নন।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমান বলেণ, “উরিতে যারা হামলা চালিয়েছিল, তারা সন্ত্রাসী। কিন্তু পাকিস্তানের শিল্পীরা সন্ত্রাসবাদী নন। তারা এদেশে আসেন সরকারের দেওয়া ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট নিয়েই।”
শুক্রবার মুম্বাইভিত্তিক ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা (আইএমপিপিএ) উরিতে আক্রমণের প্রেক্ষিতে বলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতে পাকিস্তানী অভিনয়শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি প্রস্তাবও পাশ করে। এর একদিন পর পাকিস্তানের সিনেমা প্রদর্শক ও পরিবেশক গোষ্ঠী ভারতীয় সিনেমা দেখানো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
ঠিক এ সময়ই এই ব্যাপারে কথা বললেন সালমান। পাকিস্তানি তারকাদের পাশে থাকার কথা জানান দাবাং খান।
তিনি বলেন, “শান্তিই সর্বোত্তম অবস্থা। কিন্তু এখন যেহেতু একটা ঘটনা ঘটেছে, তার পাল্টা ঘটনাও ঘটবে। সাধারণ মানুষের জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থাই শ্রেয়।”
উরি হামলার পর কাশ্মির সীমান্তে ভারতীয় সৈন্যদের সাঁড়াশি অভিযানের প্রশংসাও করেন সালমান।
তিনি বলেন, “ওরা তো সন্ত্রাসী ছিল, তাইনা? তাহলে ঠিকই আছে।”
তবে রাজনৈতিক এসব ব্যাপারের সঙ্গে শিল্পকে না মেশানোর অনুরধ জানান তিনি।
সালমান বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে শিল্পীদের মিশিয়ে ফেলা একদমই ঠিক নয়।”
সাঁড়াশি হামলায় ভারতের সাফল্যের পর দেশের সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসায় মেতে উঠেছে গোটা বলিউড। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, সোনাক্ষী সিনহা, ভারুন ধাওয়ান, সিদ্ধার্থ মালহোত্রার মতো বলি তারকারা টুইট করে সেনাবাহিনীর এই সাফল্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।