সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে তার ৪ জুন পেশ করা অর্থবিলে যে সংশোধনী এনেছেন তাতে এই সংশোধনের বিষয়টি সংযোজন করেন।
এতে নিম্নতম স্তরের সিগারেটের দাম প্রতি প্যাকেটে (১০ শলাকা) এক টাকা কমিয়ে ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে মধ্যমান ও উচ্চমানের জন্য প্রস্তাবিত দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, অর্থ্যাৎ যথাক্রমে ৪০ টাকা থেকে ৬৯ টাকা পর্যন্ত ও ৭০ টাকা ও তদূর্ধ্ব বহাল থাকছে।
২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর সংসদে আলোচনায় বেশ কয়েকজন সাংসদ সিগারেট কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত মুনাফা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।
৪ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী নিম্নতম স্তরের সিগারেটের মূল্য ১০ শলাকার জন্য ১৯ টাকা প্রস্তাব করেন, আর এ স্তরের সম্পূরক শুল্ক প্রস্তাব করেন ৪৮ শতাংশ, যা আগে ছিল ৪৩ শতাংশ।
তবে অর্থবিলে নিম্নমানের সিগারেটের মূল্য ২০ টাকা থেকে ৪২ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
চারটি স্তরে সিগারেটের কর হার নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে নিম্নতম স্তর, নিম্নমান স্তর, মধ্যমান স্তর ও উচ্চ মান স্তর।
প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নতম স্তরের সিগারেটে প্রতি প্যাকেটের দাম ১৯ টাকা এবং এ স্তরে করহার ৪৮ শতাংশ, নিম্নমানের স্তরের প্রতি প্যাকেটের দাম ২০ টাকা থেকে ৩৯ টাকা পর্যন্ত এবং এ স্তরে করহার ৬০ শতাংশ, মধ্যমানের স্তরের সিগারেটের দাম প্রতি প্যাকেট ৪০ টাকা থেকে ৬৯ টাকা পর্যন্ত এবং এই স্তরে করহার ৬১ শতাংশ এবং উচ্চমানের স্তরের প্রতি প্যাকেটের সিগারেটের দাম ৭০ টাকা ও তার বেশি এবং এই স্তরে করহার ৬৩ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়।