ধোঁয়ামুক্ত চুলা ৩ কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য

মা ও শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও জ্বালানি সাশ্রয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে পরিবেশবান্ধব চুলার সংখ্যা তিন কোটিতে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2015, 07:50 PM
Updated : 4 June 2015, 07:50 PM

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, “মা ও শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও জ্বালানি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে দেশে প্রায় ২০ লাখ ধোঁয়ামুক্ত উন্নত চুলা স্থাপন করা হয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি পরিবেশবান্ধব চুলা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।”

মন্ত্রী বলেন, সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, অ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মত পরিবেশবান্ধব পণ্য ও খাতসমূহে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ঘূর্ণায়মান পুনঃঅর্থায়ন স্কিম করেছে।

“পরিবেশ দূষণ রোধে রাজধানীর হাজারীবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা চামড়া শিল্পসমূহ সাভারে পরিবেশবান্ধব স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই স্থানান্তর আগামী অর্থবছরে সম্পন্ন হবে।

“বাসোপযোগী পরিবেশ সৃজন এবং পরিবর্তিত জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রশমনে বন সম্প্রসারণ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপর আমরা জোর দিচ্ছি। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ৩৪টি বনকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

“প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশের অবক্ষয়িত বন, প্রান্তিক ভূমি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে ব্যাপক হারে বনায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে সামাজিক বনায়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

পরিবেশবান্ধব পর্যটন প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন,  ইতোমধ্যে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং চট্টগ্রামে শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্ক চালু হয়েছে। সিলেটে ইকোপার্কের জন্য জমি নির্বাচন করা হয়েছে। অনুমোদিত হয়েছে সুন্দরবন পর্যটন নীতিমালা।

এছাড়া ১৪ টি উপকূলীয় জেলার ৭৮টি উপজেলায় ২০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।