৩ বছরেই শতকোটি ডলারের তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানি: প্রতিমন্ত্রী

সরকার আগামী তিন বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2015, 04:56 PM
Updated : 29 May 2015, 05:57 PM

শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মিলনায়তনে ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৫’র সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মাত্র কিছুদিন আগেও বিদেশিরা বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলতো। বাংলাদেশের অস্তিত্ব নাকি বিলীন হয়ে যাবে, কই গেছে।

“সে অবস্থা থেকে দেশের শুধু উত্তরণই ঘটেনি, গত ছয় বছরে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানিও শুরু করেছি। ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা এ খাতে ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করে তুলতে দেশে প্রথমবার এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ঢাকা মহানগরীসহ মোট আটটি অঞ্চলের বিজয়ী ৯৯১জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে আইসিটি কুইজে ৮০৩ জন এবং প্রোগ্রামিংয়ে ১৭০ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় তিন ক্যাটাগরিতে ২০ জন করে মোট ৬০ জন এবং প্রোগ্রামিংয়ে দুই ক্যাটাগরিতে ২০ জন করে মোট ৪০ জন বিজয়ীকে পুরষ্কৃত করা হয়।

‘১ শিক্ষার্থী-১ ল্যাপটপ-১ ড্রিম’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “এ প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীদের হাতে একটি করে ল্যাপটপ পৌঁছে দেব। কারণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের কাঙ্ক্ষিত ডিভাইসটি যদি আমরা তাদের হাতে পৌঁছে দিতে পারি তবে তাদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না।”

তিনি বলেন, “গাজীপুরসহ দেশে মোট ১৩টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে ৭০ হাজার প্রযুক্তিবিদ দরকার। এখনকার তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই এসব প্রযুক্তিবিদ গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।”

দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের ১২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৬৪টি জেলায় তথ্য-প্রযুক্তি ক্লাব গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্লাবের দায়িত্বে থাকবেন এ খাতে অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ।

“জেলার ক্লাবগুলোতে আমরা দুজন করে প্রশিক্ষিত মডারেটর নিয়োগ করব। সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে বাংলাদেশ থেকেই একেক জন বিল গেটস, জাকারবার্গ তৈরি হবে।”

বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা ইকরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক কায়কোবাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মাহফুজুল ইসলাম, রবি অজিয়াটা লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ড ইকরাম কবির, আনোয়ার ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন ও অভিনেত্রী শমী কায়সার বক্তব্য রাখেন।