শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মিলনায়তনে ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৫’র সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মাত্র কিছুদিন আগেও বিদেশিরা বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলতো। বাংলাদেশের অস্তিত্ব নাকি বিলীন হয়ে যাবে, কই গেছে।
“সে অবস্থা থেকে দেশের শুধু উত্তরণই ঘটেনি, গত ছয় বছরে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানিও শুরু করেছি। ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা এ খাতে ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করে তুলতে দেশে প্রথমবার এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
‘১ শিক্ষার্থী-১ ল্যাপটপ-১ ড্রিম’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “এ প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীদের হাতে একটি করে ল্যাপটপ পৌঁছে দেব। কারণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের কাঙ্ক্ষিত ডিভাইসটি যদি আমরা তাদের হাতে পৌঁছে দিতে পারি তবে তাদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না।”
তিনি বলেন, “গাজীপুরসহ দেশে মোট ১৩টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে ৭০ হাজার প্রযুক্তিবিদ দরকার। এখনকার তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই এসব প্রযুক্তিবিদ গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।”
“জেলার ক্লাবগুলোতে আমরা দুজন করে প্রশিক্ষিত মডারেটর নিয়োগ করব। সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে বাংলাদেশ থেকেই একেক জন বিল গেটস, জাকারবার্গ তৈরি হবে।”
বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা ইকরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক কায়কোবাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মাহফুজুল ইসলাম, রবি অজিয়াটা লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ড ইকরাম কবির, আনোয়ার ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন ও অভিনেত্রী শমী কায়সার বক্তব্য রাখেন।