আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর পতন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি বয়ে এনেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 08 Mar 2015, 11:51 PM
রোববার চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারার চিত্র নিয়ে সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী এ বিষয়টি বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেন।
২৮ পৃষ্ঠার বিবৃতির চতুর্থ পৃষ্ঠায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিকবাজারে তেলের মূল্য ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ৪৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তেলের মূল্যের এই নিম্মমুখী প্রবণতার প্রভাবে চলতি অর্থবছরের ভর্তুকি ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বস্তিদায়ক অবস্থান বজায় থাকবে বলে আশা করা যায়।”
বিবৃতির ৬ পৃষ্ঠায় মুহিত বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য হ্রাস চলতি অর্থবছরের সামনের দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও কমাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
অষ্টম পৃষ্ঠায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমন্দা হতে উত্তরণ প্রক্রিয়া কেবলই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অপরাপর উন্নত দেশসমূহে প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তেমন একটা আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
“তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য প্রায় অর্ধেক কমে যাওয়া কিংবা দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ হয়ে থাকা এক সময়কার বৃহত্তম শ্রম বাজার সৌদি আরবে নতুন করে শ্রমিক রপ্তানির পথ খুলে যাওয়া আমাদের অর্থনীতির জন্য শুভ সময়ের ইঙ্গিত বহন করছে।”
ছয় মাসে ৩০.৭ শতাংশ খরচ
বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাজেটের ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।
এই ছয় মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সরকারের ব্যয় দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।
গতবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে সরকারের ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৭৬ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যয় হয়েছে ৭৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে অনুন্নয়নসহ অন্যান্য ব্যয় এক লাখ ৭০ হাজার ১৯১ কোটি টাকা।
আর উন্নয়ন ব্যয় (এডিপি) ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।