পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংস্কারে ২৫১৯ কোটি টাকার প্রকল্প

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ঘোড়াশালের পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সংস্কার করে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে একটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2015, 01:57 PM
Updated : 3 March 2015, 01:57 PM

ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিটে শুরুতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২১৭ মেগাওয়াট। পুরনো হওয়ায় এখন তা কমে ১৭০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে। সংস্কারের মাধ্যমে তা ৪১৬ মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পটিসহ ৩ হাজার ৫১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া  হয়েছে।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের বর্ধিত বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানো।

এছাড়া পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যকাল, কর্মক্ষমতা এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানো এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।

প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫১৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে। ৪১৩ কোটি ২ লাখ টাকা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে।

বাকি ২ হাজার ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে বলে ধরা হয়েছে। তবে কোন সংস্থা থেকে আসবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে প্রকল্পের কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

পিডিবি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
 
সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ১২৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ। এটি সংশোধিত প্রকল্প।

১৪ তলা এই ভবনটির কাজ জুলাই ২০১১ সাল থেকে জুন ২০১৪ সাল নাগাদ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল। এর মেয়াদ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

 চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ডিভাইডারসহ সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জুলাই ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর মেয়াদ ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

পাসপোর্ট পারসোনালাইজেশন কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ২০১৭  সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়িত হবে এটি।
 
সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-২ এর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ৩৩/১১ কেভি ইলেকট্রিক সাবস্টেশন স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
 
এছাড়া সভায় প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ করে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিকেএসপির ক্রীড়া সুবিধাদি আধুনিকায়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।