ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি আরও ১৭ উপজেলায়

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে আরও ১৭টি জেলার ১৭টি উপজেলা এই কর্মসূচির আওতায় আসছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2014, 09:25 AM
Updated : 29 Dec 2014, 09:25 AM

তৃতীয় পর্যায়ে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সম্প্রসারণে ৪২ হাজার ৫০০ সুবিধাভোগীর জন্য সরকারের সর্বমোট মোট খরচ হবে ৬৬১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব নিয়ে আসে এবং  বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০১০ সালে যে পোভার্টি ম্যাপ তৈরি করেছে তা অনুসরণ করে ১৭টি জেলার ১৭টি উপজেলা কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার সুপারিশ করে।

“২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পযন্ত এ কর্মসূচি চলবে, প্রতি উপজেলার আড়াই হাজার মানুষ এর সুবিধাভোগী হবে। এতে খরচ হবে ১২২ কোটি টাকা।”

তৃতীয় পর্যায়ে সর্বমোট খরচ হবে ৬৬১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

১৭টি জেলার ১৭টি উপজেলা হচ্ছে- বরিশালের মেহেদীগঞ্জ, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের নান্দাইল, পিরোজপুরের কাউখালী, চাঁদপুরের হাইমচর, শেরপুর সদর, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, ঝালকাঠীর নলছিটি, মাগুড়ার মোহাম্মদপুর, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, বাগেরহাটের চিতলমারী, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, বান্দরবনের থানচি, নাটোরের সিংড়া, খুলনার তেরখাদা এবং কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ।

আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি ছিল, ২০১০ সালে ৬ মার্চ এ কর্মসূচি কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হয়।

এ কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ৩৫ বয়স বয়সী বেকার নারী ও পুরুষদের তিনমাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এ সময় তাদের প্রতিদিন ১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণ শেষে তাদের ২ বছরের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন তারা ২০০ টাকা করে প্রতিদিন পান, এরপর তারা দক্ষতা অর্জন করে পরবর্তী পর্যায়ে কাজে লাগাতে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রথম পর্যায়ে কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জের ১৯টি উপজেলায় ৫৬ হাজার ৮০১ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৫৪ জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। এজন্য ব্যয় হয় ৮৪৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে আসে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১১-১২ সালে রংপুর বিভাগের সাতটি জেলার আটটি উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৬৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং খরচ হয় ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

২৭টি উপজেলায় এ কর্মসূচি চালু আছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।