৫ বছরেই মধ্যম আয়ের দেশের স্বপ্নে মুহিত

বর্তমান সরকারের আমলেই বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশে’ পরিণত হবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2014, 12:08 PM
Updated : 20 Sept 2014, 06:43 PM

শনিবার চাঁদপুরের কচুয়ায় ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আশার কথা জানান তিনি।

একই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ  বাংলাদেশের অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুনরায় পাওয়ার আশাবাদও প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে সরকারের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তা অর্জনে জনগণের সহযোগিতা আশা করেন মুহিত।

“বর্তমান সরকারের টার্গেট বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। মহৎ উদ্দেশ্য থাকলে পাঁচ বছরে এই দেশের জনগণই এর জন্য সহযোগিতা করবে।”

“আমাদের সৌভাগ্য, কৃষক-শ্রমিকদের দক্ষতা-পরিশ্রমে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমাদের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।”

গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের বাজেটের আকার ৯০ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে আড়াই লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত হওয়ার কথা তুলে ধরে মুহিত বলেন, “আমাদের সরকারের এই মেয়াদের তা পাঁচ লাখ কোটি টাকায় নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।”

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেশি করে যুক্ত করার ওপর জোর দেন অর্থমন্ত্রী।

“আমাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ, এটাকে ৮ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। আর সেজন্য এগিয়ে আসতে হবে নারীদের।”

“এদেশের ৫০ শতাংশ নারী। তাই নারীরা পেছনে পড়ে থাকলে বাকি ৫০ শতাংশ পুরুষ কিছুই করতে পারবে না।”

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল বলেন, “সরকারের উন্নয়নের ধারায় গ্রামগুলো এখন শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের রপ্তানি আজকে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে। রিজার্ভ ২২ বিলিয়নে।”

বাংলাদেশ সব দিক দিয়েই পাকিস্তানসহ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে, বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের (জিএসপি) বিষয়ে তিনি বলেন, “জিএসপির জন্য আমাদের যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, ইতোমধ্যে তার সবগুলোই পূরণ হয়েছে। তাই জিএসপি ফিরে না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আশা করি, শিগগিরই আমরা জিএসপি ফিরে পাব।”

সরকারের পদক্ষেপে অর্থনীতিতে নারীদের ভূমিকা বাড়ার কথাও বলেন তোফায়েল।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “শেখ হাসিনার হাত ধরে শিক্ষার প্রচার-প্রসার ঘটছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সুনাম বেড়েছে।”

নারী শিক্ষার প্রসারের কথা বলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকও।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. গোলাম হোসেন।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসানুল হক চৌধুরী।