রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ট্রাস্ট ব্যাংকের মধ্যে এবিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে গভর্নর আতিউর রহমানের উপস্থিতিতে স্মারকে সই করেন ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসতিয়াক আহমেদ চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম খান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২১ থেকে ৬১ বছর বয়সী যে কোনো ফ্রিল্যান্সার এই ঋণ নিতে পারবেন। কম্পিউটারের দামের ৭০ শতাংশ অর্থ (সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা) ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে। বাকি খরচ ঋণগ্রহীতাকে বহন হবে। ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ।
তবে আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারের কমপক্ষে ৫০০ ঘণ্টা ফ্রিল্যান্সিং অথবা এ পেশা থেকে ১০০ মার্কিন ডলার আয়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে গভর্নর আতিউর বলেন, “যেসব ঋণগ্রহীতা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করবেন, তাদেরকে এক শতাংশ সুদ রেয়াত দেওয়া যেতে পারে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তা বিতরণ করার প্রস্তাবও দেন তিনি।
ইসতিয়াক আহমেদ চৌধুরী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিভাবান তরুণ-তরুণীরা অনলাইনে কাজ করে বিদেশি মুদ্রা আয় করছে।
“এই কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে। এসব ফ্রিল্যান্সারের অনেকের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য নেই। তাই তাদের সহায়তায় ‘ট্রাস্ট ফিউচারটেক’ নামে এ ঋণপণ্য চালু করেছে ট্রাস্ট ব্যাংক।”
ফ্রিল্যান্সারদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও এই ঋণের সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব।
একই সঙ্গে ঋণ গ্রহীতার বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ করারও প্রস্তাব করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাসেম, আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এস কে সুর চৌধুরী, নাজনীন সুলতানা ও ট্রাস্ট ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জাফর মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম।