সম্প্রতি পাঠানো এক চিঠিতে এসব প্রতিষ্ঠান ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, ট্রানজেকশন প্রোফাইল (টিপি) ও অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট দিতে বলেছে বিএফআইইউ।
যেসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আমিন মানি এক্সচেঞ্জের মালিক বা কর্মরত ব্যক্তির নাম হিসেবে একেএম শামসুদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পুরানা পল্টনের বায়তুল খায়ের বিল্ডিংয়ের সিটি মানিটারি এক্সচেঞ্জ প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক বা কর্মরত ব্যক্তির নাম হিসেবে কামরুল হাসানের নাম রয়েছে।
একই এলাকার সাব্বির টাওয়ারের দি ঢাকা মানি এক্সচেঞ্জার, ৬৪ দিলকুশার ভাই ভাই মানি চেঞ্জার লিমিটেড এবং বারিধারা যমুনা ফিউচার পার্কের প্যারামাউন্ট মানি এক্সচেঞ্জের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যথাক্রমে নেওয়াজ, টিপু ও জাহাঙ্গীর নামের ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নসহ যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেলে বিএফআইইউ সাধারণত ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে থাকে।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, এনজিও, মানি চেঞ্জার, সিকিউরিটিজ কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড, জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের লেনদেনের তথ্য বিএফআইইউকে দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে সারা দেশে ২৩৭টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে ঢাকায় কাজ করছে ১৬৭টি প্রতিষ্ঠান।