প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০১৪’ এর খসড়া ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহের জন্য ২০১০ সালে এই বিশেষ আইন করা হয়। দুই বছর পর এই আইনের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো হয়।
আগামী ১১ অক্টোবর ওই আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই মেয়াদ বাড়ানো হলো আরো চার বছর।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রকল্প নেয়ার জন্য ‘বিশেষ কমিটির’ মাধ্যমে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করার বিধান রয়েছে এ আইনে।
এর আওতায় সরকার স্বল্পসময়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, ওয়েবসাইটে প্রচার চালিয়ে বা ই-মেইলে যোগাযোগ করে ‘আলোচনা ও দর কষাকষির মাধ্যমে’ বিদ্যুৎ বা জ্বালানি প্রকল্পের জন্য চুক্তি করতে পারে।
সরকার গত চার বছরে এ আইনের আওতায় রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন, চলমান প্ল্যান্টসমূহের মেরামত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সচিব বলেন, “অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে এ আইনটি খুবই কার্যকর হয়েছে।”
তবে ভাড়াভিত্তিক এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে জ্বালানি আমদানিতে ভর্তুকির কারণে দেশের অর্থনীতি চাপে পড়ছে বলেও সমালোচনা রয়েছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা জানান, মন্ত্রিসভা এবার শুধু আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে, নতুন করে কোনো বিধান সংযুক্ত করেনি।