বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত এই দুই অর্থনীতিবিদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননার স্বর্ণপদক ও পুরস্কারের চেক তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
উন্নয়ন অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের গুণী অর্থনীতিবিদদের এ সম্মাননা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০০০ সালে প্রথম এ সম্মাননা দেয়া হয়। এরপর আট বছর বন্ধ থাকার পর ২০০৯ সাল থেকে ফের এ সম্মাননা দেয়া শুরু হয়।
গভর্নর আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, বিআইডিএসের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল মুজেরী, বিআইবিএমের মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা, সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহীম খালেদসহ অর্থনীতিবিদ এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোজাফফর আহমদের স্ত্রী ড. রওশন জাহান, মেয়ে সোহেলি নাজনীন এবং স্বদেশ রঞ্জন বোসের স্ত্রী নুরজাহান বোস প্রয়াত দুই অর্থনীতিবিদের স্মৃতিচারণ করেন।
আতিউর রহমান বলেন, “একুশে পদক প্রাপ্ত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ অর্থনীতি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শ্রমিক সম্পর্ক, পল্লী উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পরিবেশ উন্নয়ন, নাগরিক অধিকার, সুশাসন, গণতন্ত্র ও নির্বাচনসহ অনেক বিষয়ের উপর মৌলিক গবেষণা ও সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। তার এসব গবেষণা ও মতামত জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা হয়ে আছে।”
স্বদেশ রঞ্জন বোস সম্পর্কে তিনি বলেন, “স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ড. বোস ছিলেন দেশের একজন কৃতী অর্থনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলনে যোগদানের জন্য তাকে জেল খাটতে হয়। তিনি ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের প্ল্যানিং সেলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিক নির্দেশনায় তার গবেষণালব্ধ জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
এই পুরস্কার আট বছর বন্ধ না থাকলে এই দুই অর্থনীতিবিদকে হয়তো জীবিত অবস্থায় সম্মাননা দেয়া যেত বলে মন্তব্য করেন কাজী খলীকুজ্জমান।