বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান ডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে এতো বেশি রেমিটেন্স আর কখনো আসেনি।
“মূলত রোজার ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে তাদের পরিববার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠানোয় রেমিটেন্স প্রবাহ এই নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছ।”
এছাড়া বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপও এতে অবদান রেখেছে বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে ১৪৫ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
রেমিটেন্স বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদও (রিজার্ভ) বেড়েছে।
সোমবার রিজার্ভে ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন (দুই হাজার ১৪০ কোটি) ডলার, যা দিয়ে প্রায় সাত মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে ছাইদুর রহমান জানান।
গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১২৮ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই মাসে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ জুনের চেয়ে প্রায় ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
২০১৪ সালের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) রেমিটেন্স বাবদে দেশে এসেছে ৮৯৩ কোটি ৭৯ লাখ ( ৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন) ডলার। এই অর্থ ২০১৩ সালের প্রথম সাত মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।
গত বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা মোট ৮২৯ কোটি ৭৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন।