সোমবার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততা, সম্পদ মান, ব্যবস্থাপনা মান, আয়, তারল্য ও বাজার ঝুঁকির প্রতি স্পর্শকাতরতা- এই ৬টি উপাদানকে ভিত্তি করে ক্যামেলস রেটিং হিসাব করা হয়। সর্বোচ্চ ১ থেকে সর্বনিম্ন ৫ মান ধরে ব্যাংকগুলি পারদর্শিতা হিসাব করা হয়।
ক্যামেলস রেটিংয়ের ব্যবস্থাপনা মানের মধ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ পরিস্থিতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, “কোনো ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য অর্জন, ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদ হারে ঋণ বিতরণ, নিজস্ব শাখার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ এবং আদায়যোগ্য ঋণের বিপরীতে আদায়ের হারকে বিবেচনা করে ওই ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিং করা হবে।”
নতুন কৃষি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম, এস কে সুর চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা আগের অর্থাৎ ২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ৯ হাজার ১৪০ কোটি এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো ৬ হাজার ৪১০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করবে।
আতিউর রহমান বলেন, “গত অর্থবছরে আদায়যোগ্য ঋণের ৬৯ শতাংশ আদায় হয়েছে। আদায়ের এই হার আগের অর্থবছরের চেয়ে কম। কৃষি ঋণ আদায়ের বিষয়ে আপনাদের আরো যত্নবান হতে হবে। ঋণ পরিশোধ সম্পর্কে কৃষকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।”
এছাড়া কৃষি খাতের ঋণ কৃষি খাতে ব্যবহার হচ্ছে কি না না অন্য কোনো খাতে স্থানান্তর হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন গভর্নর।