মধ্যম আয়ের দেশের পথে বাংলাদেশ: শিনোহারা

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরের সময় পার করছে মন্তব্য করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাওইউকি শিনোহারা বলেছেন, গত দুই দশকে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2014, 04:35 PM
Updated : 2 July 2014, 05:24 PM

বাংলাদেশে সব স্তরের জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শীর্ষ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা।

তবে দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল করতে কর সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন তিনি।

দুই দিনের ঢাকা সফর শেষে বুধবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এ সময় সংস্থার বাংলাদেশ মিশনের প্রধান রদ্রিগো কিউবেরো ও বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেলা কেয়েনডেরা উপস্থিত ছিলেন।

গত দুই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি এবং অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন নাওইউকি শিনোহারা।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ উন্নয়শীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের সময় পার করছে। এসময়ে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করার যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আমার কাছে চমকপ্রদ মনে হযেছে। গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।”

স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমুলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের সহায়ক অর্থনীতি ও সম্ভাবনা রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আর্থিক খাত, ব্যবসা, শ্রম অবস্থা এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোতে রাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধি তা সহজ করেছে।

আইএমএফ কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশের এখন একটি শক্তিশালী বহিঃখাত ও অভ্যন্তরীণ খাত রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ভালো, মুল্যস্ফীতি নিম্ন ধারায় রয়েছে।কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

“গত বছর ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন পাশ হয়েছে। আগামী বছর ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। এমডিজি লক্ষ্যগুলো অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি।”

শিনোহারা মনে করেন, বাংলাদেশে কর সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য আরো কিছু উদ্যোগ নেয়া দরকার। তাতে সরকার সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় বাড়াতে পারবে।

এছাড়া অদক্ষতা ও অন্যান্য কারণে জ্বালানি খাতে যে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে তা দূর করতে পারলে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নে সরকার আরো বেশি মনোযোগী হতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের অগ্রগতি ধরে রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই স্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য এদেশের রাজনীতিকদেরই ঐক্যমত্যে আসতে হবে।

এক্ষেত্রে আইএমএফ কোন ধরনের উদ্যোগ নেবে না বলে জানান তিনি।