প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তাতে উদ্বিগ্ন নন বলেও জানান তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী আলোচনার বিষয়বস্তু এবং বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে প্রতিনিধি দলের প্রধান রাকেশ মোহন, আইএমএফের স্থানীয় প্রতিনিধি হেথারি কেভিনট্রেজ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মুহিত বলেন, “তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে শুল্ক ছাড় ও বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে আইএমএফ। তারা মনে করছে এতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে পারে।
“তারা বলেছে, আমাদের বাজেট উচ্চাভিলাষী হয়। প্রতিবছর আকার বাড়ছে। অনেক লক্ষ্যই অনেক বেশি ধরা হয়।”
“বাজেটে লক্ষ্য বেশি ধরলে অর্জনও বেশি হয়, এতে কোনো অনুবিধা হবে না, তাদের বলেছি আমি,” বলেন মন্ত্রী।
২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বরাদ্দ কাটছাঁট করাকেই চ্যালেঞ্জ মনে করছেন অর্থমন্ত্রী।
“গত ৫ বছরে বাংলাদেশের বাজেটের সাইজ দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। রাজস্ব আয়ও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এতে প্রত্যাশার বিস্ফোরণ হয়েছে দেশে। যার ফলে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”
আসন্ন বাজেটে রাজস্ব আদায়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতার চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। এবারো একটু বেশি করে প্রবৃদ্ধি ধরা হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ধরা হবে।
আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ- আইএমএফের এমন ধারণার প্রতিক্রিয়ায় মুহিত বলেন, “আইএমএফ সবসময় একটু কনজারভেটিভ।”
তিনি জানান, আগামী বাজেট হবে আড়াই লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে(এডিপি) বরাদ্দ থাকবে ৮০ হাজার কোটি টাকা। ৫ শতাংশ ঘাটতি বাজেট হবে।
রাজস্ব আয় হবে মোট জিডিপি’র ১৮ শতাংশ। আর বৈদেশিক সহায়তা আসবে ২ শতাংশ।
আইএমএফের সঙ্গে সম্প্রসারিত ঋণ সুবিধা চুক্তির সব শর্ত সময়মত পূরণ করায় সংস্থাটি সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।